সৈয়দ নিজাম, নাগরাকাটা: পরিবেশকে রক্ষা করা, পানীয় জল অপচয় না করা এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে এবারে পুজোতে জোর দিচ্ছে ক্রান্তির ধনতলা পল্লি উন্নয়ন সংঘ সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। ৫২তম বর্ষের এই বিগ বাজেটের এই পুজোতে এবারে দক্ষিণ ভারতের গণেশ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। এবারে পুজোর বাজেট সাত লক্ষ টাকা। ময়নাগুড়ি রোডের কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা আসবে। প্রতিমা হবে ১০ ফুটের। চওড়া ১৫ ফুট। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনের উপর বার্তা দিয়ে আলোকসজ্জা করা হবে। ধনতলা মোড় থেকে মন্দির পর্যন্ত ৮০০ মিটার আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে। পুজোর দিনগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। সেই সঙ্গে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে নানা সামাজিক কাজ করা হবে। পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এলাকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। হবে অঙ্কন ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সন্ধ্যায় থাকছে দারিদ্র নারায়ণ সেবা। সব মিলিয়ে এবারে জাঁকজমক করে হচ্ছে দুর্গাপুজো। এই পুজো দেখার জন্য সারাবছর অধীর অপেক্ষায় থাকেন বাসিন্দারা।
এবারের পুজো কমিটির সভাপতি বরেন্দ্রনাথ রায়, সহ সভাপতি কানু হাজরা, সম্পাদক নিরুমোহন রায়, সহ সম্পাদক টুম্পা কর্মকার, কোষাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ মণ্ডল, হিসেরক্ষক বিশ্বজিৎ রায় ও ক্লাবের সম্পাদক উত্তম মণ্ডল বলেন, দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত গণেশ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। একমাস আগে খুঁটিপুজোর পরই কাজ শুরু হয়েছে। এবারে আমাদের পুজোর চমক থাকছে, ১০ ফুটের প্রতিমা চওড়া হবে ১৫ ফুট। পুজোয় এবারে পানীয় জল অপচয় না করা, ডেঙ্গু মোকাবিলায় ও সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে প্রচার করা হবে। পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার বার্তাও দেওয়া হবে। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে ‘গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান’ পোস্টার থাকবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে ফ্লেক্স এবং ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার করা হবে ।
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য আলিমুল হক বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই বার্তা দিতেই আমরা মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষ এই পুজোতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে আনন্দ উপভোগ করি। নিজস্ব চিত্র।