• কুমারগঞ্জ হাসপাতালে একই বেডে দু-তিনজন রোগীকে রেখে চিকিত্সা
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড নেই। অভিযোগ, একই বেডে দুই-তিনজনকে রাখা হচ্ছে। এমনকী, গুরুতর অসুস্থ রোগীরাও হাসপাতালে এসে বেডের অভাবে দাঁড়িয়ে থাকছেন। ফলে ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনরা। গত সোমবার হাসপাতালের চরম অব্যবস্থার দু’টি ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় (যদিও ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’)।

    সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একই বেডে দুই-তিনজন রোগী শুয়ে। সেই চরম অব্যবস্থার ভিডিও করতে গেলে এক যুবককে হাসপাতালের এক কর্মী বাধা দেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাথায় ব্যান্ডেজ এবং হাতে স্যালাইন নিয়ে এক রোগী হাসপাতালে বেডের অভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। হাসপাতালের অব্যবস্থায় সরব হয়েছেন রোগীর পরিজনরা।

    হাসপাতালে বেডের অভাব নেই বলে দাবি করেছেন কুমারগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌমিত্র সাহা। ভিডিও প্রসঙ্গে বিএমওএইচ বলেছেন, শনিবার রাতে এক যুবক এসে ভিডিও করেন। ওই যুবকের কেউই হাসপাতালে ভর্তি নেই। তিনি ইমারজেন্সিতে এসেছিলেন। ইচ্ছাকৃতভাবে ভিডিও করেন। 

    হাসপাতালে ৩০ টি বেড অনুমোদিত রয়েছে। আরও ২০ টি বেড বাড়তি রাখা রয়েছে। বর্তমানে জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ৩২ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে অসুস্থ মাসিকে নিয়ে আসেন কুমারগঞ্জ ব্লকের কৃষ্ণপুরের যুবক সাওফার মণ্ডল। তাঁর কথায়, মাসিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দেখাই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তার বলেন, রোগীকে কিছুক্ষণ অবজারভেশনে রাখা হবে। ফিমেল ওয়ার্ডে মাসিকে নিয়ে গিয়ে দেখি, দু’টি বেডে তিন-চারজন করে রোগী রয়েছেন। কিন্তু পাশেই দু-তিনটি বেড ফাঁকা রয়েছে। সেখানে মাসিকে নিয়ে যেতে চাইলে কর্মীরা বাধা দেন। ওই ফাঁকা বেডে রোগীকে রাখা হবে না বলে আমাকে জানানো হয়।

    ফাঁকা বেডে কেন রোগীকে রেখে চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়া যাবে না, সেই প্রশ্ন করেন সাওফার। সূত্রের খবর, সেই সময় হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাওফার। এরপরই হাসপাতালের ভিতরের অব্যবস্থার ভিডিও করতে গেলে যুবককে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সাওফারের কথায়, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সে বিষয়টি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)