মৃন্ময় বসাক, কালিয়াগঞ্জ: প্রতিবছরের মতো এবারও সম্প্রীতির নজির গড়ছে হেমতাবাদ ব্লকের বাঙ্গালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যুৎ ক্লাবের দুর্গাপুজো। এবছর তাদের পুজো ৭১ তম বর্ষে। ইতিমধ্যে অর্ধসমাপ্ত দুর্গা মন্দিরে শুরু হয়েছে অস্থায়ী পুজো মণ্ডপ তৈরির কাজ। বাঁশ, কাঠ, কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুজো মণ্ডপ।
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য বাপি ক্ষেত্রী বলেন, আমরা এবছর দুর্গার স্থায়ী মন্দির তৈরি করছি। তাই পুজোর বাজেট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নিষ্ঠা ও ভক্তি একই রয়েছে। বাঙ্গালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হিন্দু ও মুসলিম মিলে মানুষ এই পুজোয় শামিল হন। পুজো কমিটির দায়িত্বেও রয়েছেন দুই ধর্মের মানুষ। আমাদের এই পুজো সম্প্রীতির বার্তা দেয়।
পুজো কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ছোটথেকে এই পুজোয় শামিল হই। চাঁদা তোলা থেকে পুজোর বিভিন্ন কাজে শামিল হই আমরা। ধর্মের বিভেদ ভুলে এই পুজো করি সবাই মিলে।
বর্তমানে জোরকদমে চলছে পুজো মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কাজ। পুজো কমিটির সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, আমাদের পুজো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে উদ্বোধন হবে। তিনি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। পুজোয় সমাজসেবা ও সচেতনতা মূলক কর্মসূচি রয়েছে উদ্যোক্তাদের। দুঃস্থদের পোশাক ও শাড়ি বিলি করবে বিদ্যুৎ ক্লাব।
অষ্টমীতে এই পুজো মণ্ডপে ভিড় জমে প্রতিবছর। এখানে স্থায়ী দুর্গা মন্দির তৈরি হচ্ছে। সেজন্য এবছর আড়ম্বর কম। তবে আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না ক্লাব কর্তারা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পুজোয় শামিল হন এলাকার মানুষ। ফাইল চিত্র