• জেলায় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকাল ডেঙ্গু, পুজোয় বাড়তি সতর্কতা জেলা প্রশাসনের
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: পুজোর আবহে চিন্তা বাড়িয়ে জেলায় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকাল ডেঙ্গু। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন রয়েছেন। যদিও তাঁরা চিন্তিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত মোট ২১২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জেলায় পুজোর মরশুমে ডেঙ্গু মোকাবিলায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে ঝাঁপিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারাও। সেইসঙ্গে প্রশাসনের তরফে জেলাবাসীকে নিজের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হচ্ছে।

    জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পুজোর ক’টা দিনেও ডেঙ্গু মোকাবিলার কাজ জারি থাকবে। সামান্য বৃষ্টিতেও যাতে কোথাও জল না জমে, সেদিকে নজর রাখা হবে। এছাড়াও মণ্ডপ চত্বর সহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। সেইসঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতার পাঠ দিতে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপগুলিতে নিয়মিত প্রচার চালানো হবে।

    জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত বছরের তুলনায় এবছর আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। ২০২৪ সালে এইসময় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০। এবছর এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১২। জেলার দুবরাজপুর ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেশি। শুধুমাত্র এই ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ ছাপিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, নানুরে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬। ইলামবাজার ও সিউড়ি-১ ব্লকে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যান্য ব্লকেও ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলছে। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম। 

    পুজোর আবহে যাতে কোনওভাবেই বিষয়টিকে হাল্কাভাবে না নেওয়া হয় তার জন্য সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। ডেঙ্গুর প্রকোপ না বাড়ে, সেদিকে এখন থেকেই কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সাফাই অভিযানে যাতে কোনওভাবে খামতি না থাকে, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু মোকাবিলা খুব একটা সহজ হবে না বলেই আধিকারিকরা মনে করছেন। 

    আধিকারিকদের পরামর্শ, মশার বৃদ্ধি রুখতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি মশারি ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানলেই নিরাপদ থাকবে শহর। এমনই দাবি করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

    জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি একাধিক পুজো উদ্যোক্তা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতার পাঠ দিতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। পুজোর সময় প্যান্ডেল হপিংয়ে ব্যস্ত দর্শনার্থীদের সতর্ক করতে মণ্ডপের বাইরে সচেতনতামূলক ব্যানার, ফেস্টুনও ঝোলানো হবে। সিউড়ি চৌরঙ্গী সর্বজনীন ক্লাবের সম্পাদক দেবাশিস ধীবর বলেন, প্রতি বছরই ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের তরফে সচেতনতার পাঠ দেওয়া হয়। এবারও তার অন্যথা হবে না। দিনের বিভিন্ন সময় সচেতনতার পাঠ দিতে মাইকিং করা হবে। এছাড়াও, মণ্ডপের বাইরে ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো 

    হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)