আরামবাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল রামকৃষ্ণ সেতু, পুজোর আগে বাসিন্দাদের ভোগান্তি চরমে
বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রামকৃষ্ণ সেতু বন্ধের কথা ঘোষণা করেছিল পূর্তদফতর। কিন্তু তার মধ্যে সেতুর সংস্কার শেষ হবে না। তাই সেতু বন্ধের সময়সীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ছে। ফলে বাসিন্দাদের ভোগান্তি অব্যাহত থাকছে। পূর্তদপ্তর জানিয়েছে, পুজোর ক’দিন রাতে সেতু খোলা থাকতে পারে। তবে কোন কোন দিনে সেতু খোলা থাকবে-সেবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
পূর্তদফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জ্যোতিপ্রকাশ ধর বলেন, রামকৃষ্ণ সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণের সময়সীমা বাড়বে। তবে দুর্গাপুজোর সময় সেতুতে যান চলাচলে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে স্থানীয় স্তরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে আরামবাগ মহকুমার পাশাপাশি বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের একাংশও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হুগলি ইন্টার রিজিয়ন বাসমালিক সমিতির সভাপতি মির্জা গোলাম মোস্তফা বলেন, সেতু খোলা নিয়ে পূর্তদফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তাঁরা কোনও দিশা দেখাতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। ফলে দুর্গাপুজো সহ অন্য পুজোয় চাঁদা দিতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসন যাতে বিষয়টি দেখে, সেই আবেদন জানিয়ে মহকুমা শাসকের অফিসে চিঠি দিয়েছি।
সেতু বিপর্যয়ের প্রভাব পুজোর বাজারেও পড়েছে। আরামবাগের এক কাপড় ব্যবসায়ী ফণীলাল দে বলেন, রামকৃষ্ণ সেতুতে যান নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় আরামবাগের বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। অনেক ক্রেতাই হয়রানির আশঙ্কায় আসছেন না। যাঁরা আসছেন, তাঁরা রাত ১০টার আগে সবকিছু সেরে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। দোকানের কর্মীদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
৯আগস্ট রাতে আরামবাগে দ্বারকেশ্বর নদের উপর রামকৃষ্ণ সেতুর গার্ডওয়ালের একাংশ ভেঙে যায়। ফলে বাস সহ ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেতুর উপর টোটোয় চেপে যাতায়াত চলছে। এছাড়া, রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সেতুতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র রোগী পরিবহণকারী অ্যাম্বুলেন্সকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। পূর্তদফতর জানিয়েছে, সেতুর উভয়দিকে ভার কমানোর প্রাথমিক কাজ করা হচ্ছে। এর জন্য যন্ত্রের সাহায্যে গার্ডওয়ালের অংশ কাটা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ করতে আরও কিছুদিন লাগবে। গার্ডওয়াল কাটা হলে সেখানে স্টিলের রেলিং বসবে।