• ৩৫তম বর্ষে পড়ল বহরমপুরের আনন্দপল্লি সর্বজনীন দুর্গাপুজো
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বহরমপুর: বহরমপুরের মহিলা পরিচালিত আনন্দপল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এবার ৩৫তম বর্ষে পড়ল। এবারও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। উৎসবের আনন্দে শামিল হতে চলেছেন বাসিন্দারা। শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল। এই চারদিন পুজো, খাওয়া দাওয়া ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে কাটান বাসিন্দারা। শতাধিক পরিবারের জন্য খাওয়া দাওয়া আয়োজন করেন মহিলা ব্রিগেড। পুজো কমিটির সম্পাদিকা হীরা মুখোপাধ্যায় বলেন, মহিলা পরিচালিত পুজোর সমস্ত আয়োজন মহিলারাই করে আসছেন। প্রাক্তনীদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বহন করে আসছি। বহরমপুর শহর তথা জেলায় নারীশক্তিকে উৎসাহিত করতে আমদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ৩৫ বছর আগে আনন্দপল্লির পুজো শুরু হয়নি। পাড়ার ছোটদের পুজো দেখতে অনেক দূর যেতে হতো। স্থানীয় মহিলা পূরবী চক্রবর্তী, রেবা প্রামাণিক, রিনা চৌধুরী, সন্ধ্যা ধরগুপ্তরা এক দুপুরের আড্ডায় ঠিক করলেন পাড়ায় দুর্গাপুজো করবেন। সেইবারই পাড়ায় মহিলা পরিচালিত দেবী আরাধনার সূচনা হয়। তারপর থেকে আনন্দপল্লির শারদোৎসবের ঐতিহ্য বছর বছর বেড়েছে। পুজো কমিটির সভাপতি নিলাঞ্জনা চৌধুরী বলেন, চারদিন সান্ধ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মণ্ডপ জমজমাট হয়ে থাকে। পাশাপাশি মাতৃ আরাধনায় কোনও খামতি রাখা হয় না। পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, সপ্তমী থেকে দশমী খাওয়ার আয়োজন থাকে। সপ্তমীর মেনুতে থাকে পোলাও, ছানার ডালনা, ডাল, চাটনি, মিষ্টি। অষ্টমীর দিন কন্টেনারে প্রত্যেকে পরিবারে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। নবমীতে থাকে মাংস-ভাত। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ স্বাগতা সরকার বলেন, দশমীর দিন বিসর্জনের পর লুচি, আলুর দম, ছোলার ডাল, বোঁদে খাওয়ানো হয়। পুজোর চারদিন সন্ধ্যা আরতির পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পড়ার ছেলে মেয়েরাই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। কমিটির সহ সম্পাদিকা দেবযানী চক্রবর্তী বলেন, পাড়ার মাধ্যমিকের কৃতীদের হাতে পুরবী চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আর কমিটির পক্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক মেধা পুরস্কার দেওয়া হয়। একসময় আনন্দপল্লির ধুনুচি নাচ দেখতে ভিড় জমত। বিজিতা মুখোপাধ্যায়, অনুষ্কা চক্রবর্তী, অলঙ্কৃতা ঘোষ, শ্রুতি দত্তরা জানান, এবার তাঁরা ধুনুচি নাচে পাড়া মাতিয়ে তুলবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)