কান্দির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৮টি পুজোর ঘটোত্তোলন, বিসর্জন হয় একই সঙ্গে
বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, কান্দি: কান্দি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুজোর উন্মাদনা অন্যদের থেকে যেন একটু বেশি। ওয়ার্ডের আটটি পুজোর ঘট ভরা ও বিসর্জন হয় একসঙ্গে। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেন গ্রামের বাসিন্দারা। পুজোর আগে গ্রামের রাস্তাঘাট ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। নিকাশি সমস্যা তেমন নেই। আলোর অভাবও মিটেছে।
কান্দি শহর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে রয়েছে পুরসভার একমাত্র গ্রাম ৭ নম্বর ওয়ার্ড রষোড়া। এই গ্রামে এবছর ছ’টি সার্বজনীন ও দু’টি বাড়ির পুজো হচ্ছে। আমরা প্রথম নামুপাড়া, মাঝপাড়া, অন্নপূর্ণাতলা, ঘোষপাড়া, বাগদিপাড়া ও পশ্চিমপাড়া পুজোগুলি সার্বজনীন। এছাড়াও মুখোপাধ্যায় বাড়ি ও রাইজি বাড়ির পুজোও রয়েছে। তবে পশ্চিমপাড়া পুজো গ্রামের সবচেয়ে প্রাচীন। কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের পাশে রষোড়া অম্বিকা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের কাছে এই পুজো হয়।
এখানকার পুজোর আর্কষণ হল দেবীর ঘট ভরার বিষয়টি। বাসিন্দারা জানান, গ্রামের দক্ষিণ দিকের দহের সদরঘাটে প্রতিটি পুজোর ঘটে জল ভরা হয়। শোভাযাত্রা করে ঢাক, ঢোল, কাঁসর, সানাই বাজিয়ে একসঙ্গে আটটি পুজোর ঘটে জল ভরা হয়। গৃহবধূ রুমা ঘোষ বলেন, ঘটে জল ভরার দৃশ্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। মনে হবে আটটি পুজো নয়, যেন এখানে কোন একটি পুজোর অনুষ্ঠান চলছে। গ্রামের সকলে মিলেমিশে একাকার হয়ে যান। আবার দেবীর ঘট বিসর্জনের সময়ও আটটি পুজোর ঘট বিসর্জন হয় একইসঙ্গে। বিসর্জনের সময়েও গ্রামের মানুষ সমবেত হয়ে একসঙ্গে শোভাযাত্রায় মেতে উঠেন। স্থানীয় বাসিন্দা বিধান মণ্ডল জানান, দুর্গাপুজোয় গ্রামের মানুষকে দেখলে মনে হবে সকলেই যেন একই পরিবারের সদস্য। একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া থেকে আনন্দে মেতে উঠা সবই একসঙ্গে।
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কুমকুম চক্রবর্তী বলেন, পুজোর আগে ওয়ার্ডে যে সব সমস্যা ছিল আগেই মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।