একাধিক দাবি নিয়ে সিউড়ি পুরসভায় বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি দিল বিজেপি
বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, সিউড়ি: একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার সিউড়ি পুরসভায় বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, তাঁদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, সমস্ত দাবি ঠিক নয়। কিছু ঠিক দাবি আছে। তবে বেশীরভাগ দাবি ভুয়ো। অন্যদিকে এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেপালের প্রসঙ্গ টেনে সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে আক্রমণ করেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি দীপক দাস।
মঙ্গলবার সকালে বিজেপির সিউড়ি শহর কার্যালয় থেকে একটি মিছিল করেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। সেখান থেকে তাঁরা পুরসভার সামনে আসেন। সেখানে সাময়িক বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর তাঁরা স্মারকলিপি দেন৷ মূলত, সিউড়ি শহরজুড়ে রাস্তার অবস্থা বেহাল, সেগুলি সংস্কার করা, রাতে সিউড়ি শহর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ করা, গাড়ি থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ করা, সিউড়ি শহরে একাধিক রাস্তায় জবর দখল উচ্ছেদ করা, রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করা সহ ১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপক দাস সিউড়ির বিধায়ককে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, আপনি মানুষের ভোটে জিতে এমএলএ হয়েছেন। এই সাড়ে চার বছরে কি কাজ করেছেন দেখান। আর আপনি সময় পাবেন না। অন্য কেউ পেলেও আপনি পাবেন না, আমি নিশ্চিত। তাই আপনাকেও জবাব দিতে হবে। দেখেছেন তো নেপালের মন্ত্রীদের কেমন জামা প্যান্ট খুলে নামাচ্ছিল। সিউড়িবাসীও ওই রকম জামা, প্যান্ট খুলে নামাবে আপনার। যদিও দীপক দাসের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাননি বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। তিনি পাল্টা জানান, একসময় তৃণমূলে ছিলেন তো তিনি। ওঁর নানান কর্মকান্ডের জন্য আমরা বোধহয় ওঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলাম। ওঁদেরকে নিয়ে বলতে রুচিতে বাঁধে। আগামীদিনে মানুষ ওঁদেরই প্যান্ট জামা খুলে নেবে। কারণ এই সব ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে, ডেপুটেশন দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না। আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি, মানুষের জন্য কাজ করি।
অন্যদিকে, ডেপুটেশন দেওয়া নিয়ে দীপক দাস বলেন, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে পুজোর আগে সমস্ত রাস্তা ও আলো ঠিক করে দেবেন। আমদের কথা বলে মনে হয়েছে অন্তত রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে। আর না হলে পুজোর পর এসে তালা মেরে দেব। অন্যদিকে পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ডেপুটেশনে দু›একটা ঠিক বলেছে। বাকিগুলো ঠিক নয়। যেমন, শহরে প্রচুর আলো লাগানো হয়েছে। রাস্তাঘাট মেরামতের কথা বলেছে। ইতিমধ্যেই সেই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর পূর্ত দপ্তরের রাস্তা সংস্কারের জন্য আমি চিঠিও করেছি। সেই কাজও শুরু করেছে। বৃষ্টির জন্য কাজ করা যাচ্ছে না। তাই ওইভাবে মাইক ধরে বড় বড় কথা বললেই হয় না। ২০২৬ এর ভোটে মানুষ জবাব দেবে।