হাত বেঁধে বেল্ট দিয়ে... ‘বিকৃত আনন্দ’ পেতে স্ত্রীর সঙ্গে এ কী করলেন স্বামী? অন্ধ্রের ঘটনায় শিউরে উঠছে দেশ
আজকাল | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইন থেকে সচেতনতামূলক প্রচার, কিছুই যেন কাজে আসছে না। ক্রমেই বেড়ে চলেছে গার্হস্থ্য হিংসা ঘটনা। এবার ফের প্রকাশ্যে এল নারকীয় এক নির্যাতনের ছবি। প্রতিবেশীরা আটকানোর চেষ্টা করলেও তাতে কর্ণপাত করল না অভিযুক্ত। স্ত্রীর হাত বেঁধে বেল্ট দিয়ে অকথ্য অত্যাচার চালাল স্বামী। যন্ত্রণায় স্ত্রী যখন চিৎকার করছেন, ছটফট করছেন, তখনও তাঁর উপর চলতে থাকে পাশবিক মারধর।
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলার এই ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গুরুনাথন নামে ওই ব্যক্তি বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে বেধড়ক মারছেন, মাটিতে ফেলে লাথি মারছেন। যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন ওই মহিলা, ভয়ে লাফাচ্ছেন, কিন্তু তাতেও থামছে না অত্যাচার।প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, স্ত্রীকে মারধর করার সময় গুরুনাথনের চোখেমুখে এক ‘বিকৃত আনন্দ’ ফুটে উঠেছিল। প্রতিবেশীরা তাঁকে থামানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও সেদিকে কান দেননি তিনি। বরং সকলের বাধা উপেক্ষা করে পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে যান।জানা গিয়েছে, গুরুনাথন এবং ওই মহিলার তিন মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। সন্তানদের মুখে দু'মুঠো অন্ন তুলে দিতে স্থানীয় একটি বেকারিতে কাজ করেন ওই মহিলা। অন্যদিকে, গুরুনাথন হায়দরাবাদে অন্য এক মহিলার সঙ্গে বসবাস করে।স্থানীয়দের দাবি, গুরুনাথন প্রায়শই গ্রামে ফিরে স্ত্রীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালান। স্ত্রীর রোজগারের টাকা কেড়ে নেওয়াই তার মূল উদ্দেশ্য থাকে। টাকা দিতে অস্বীকার করলেই নেমে আসে চরম শারীরিক নির্যাতন। এই ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে তামিলনাড়ুতে৷ দিনের পর দিন শ্বশুরবাড়িতে চরম নির্যাতন। কখনও মারধর, কখনও বা খেতে না দেওয়া, কখনও আবার যৌন নির্যাতন। লাগাতর শ্বশুরের যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই চরম পদক্ষেপ করলেন ৩২ বছরের এক যুবতী। গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
যুবতীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। কখনও কখনও চলত চরম শারীরিক নির্যাতন। কখনও আবার মানসিক নির্যাতন। নিত্যদিন সংসারে অশান্তি হতেই থাকত। এর পাশাপাশি ফাঁকা বাড়িতে প্রায়ই যৌন নির্যাতন করতেন শ্বশুর। লাগাতার অত্যাচার, অপমানের জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। পুলিশ জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর রমানাথপুরমের ঘটনা এটি। যুবতী শ্বশুরবাড়িতেই গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন আত্মহত্যার আগে একটি ভিডিও রেকর্ড করেছেন। সেই ভিডিওতে তাঁর ছেলেকে কিছু কথা বলতে দেখা গেছে।
যুবতী জানিয়েছেন, ১৩ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। শ্বশুরবাড়িতে পা রাখা মাত্রই শুরু হয় নির্যাতন। আরও পণের দাবি ছিল তাঁদের। কখনও হাজার হাজার টাকা চাইতেন। কখনও বা আরও সোনার গয়না। শাশুড়ি, শ্বশুর, স্বামী, সকলের দ্বারাই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ করছেন।
শ্বশুরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ফাঁকা বাড়িতে প্রায়ই তিনি যৌন নির্যাতন করতেন। বাড়িতে কেউ না থাকলেই শ্বশুর জড়িয়ে ধরতেন। নির্জনতার সুযোগে অশ্লীলভাবে বধূকে ছুঁতেন তিনি। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। শ্বশুর পাল্টা হুমকি দিতেন। স্বামী নিত্যদিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। সেই অবস্থাতেই যুবতীকে মারধর করতেন তিনি। শ্বশুরের কীর্তি একাধিকবার জানিয়েও লাভ হয়নি। স্বামীর দাবি, শ্বশুরবাড়িতে থাকতে গেলে সবকিছুই সহ্য করতে হবে। প্রতিবাদ করেও লাভ হবে না।