'একটু কথা আছে, শোন', পরিচিত দাদা ডেকেছিল, কাছে যেতেই সর্বনাশ! নাবালিকার মুখে বর্ণনা শুনে শিউরে উঠল পুলিশ
আজকাল | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিচিত দাদা ডেকে নিয়ে গিয়েছিল কথা বলার জন্য। কথা বলার সময় নাবালিকাকে পানীয় খেতে দেয়। তারপরেই ভয়াবহ ঘটনা। পরিচিত দাদা ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করল নাবালিকাকে। সারারাত সেই অবস্থাতেই পড়েছিল ওই নাবালিকা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের খাগারিয়া জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর বয়সি নাবালিকাকে নেশাদ্রব্য মেশানো পানীয় খাইয়ে অচৈতন্য করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর গণধর্ষণ করা হয়। ছয়জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা বর্তমানে পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে জানানো হয়েছে, মূল অভিযুক্ত নাবালিকার পরিচিত। ঘটনার দিন ওই অভিযুক্ত যুবক নাবালিকার সঙ্গে কথা বলার অজুহাতে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। এরপর মোটরসাইকেলে করে নাবালিকাকে নিয়ে যায় নির্জন এলাকায়। সেখানে পৌঁছনোর পর মূল অভিযুক্ত ও তার পাঁচ বন্ধু মিলে নাবালিকাকে পানীয় খেতে দেয়। সেই পানীয়তে মেশানো ছিল নেশাদ্রব্য।
মাদক মেশানো পানীয় খেয়েই অচৈতন্য অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে নাবালিকা। তারপরেই গণধর্ষণ করা হয়। সেই অবস্থাতেই নাবালিকাকে ওই নির্জন এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সারারাত সেই অবস্থাতেই পড়েছিল সে। সকালে জ্ঞান ফেরার পর কোনও মতে বাড়িতে ছুটে পালিয়ে আসে সে। এরপর পরিবারের সদস্যদের ভয়াবহ ঘটনাটি জানায়। তড়িঘড়ি করে থানায় ছুটে যায় নির্যাতিতার পরিবার।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই যোগীরাজ্যে আবারও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এবার নির্যাতনের শিকার এক নাবালিকা। ঘটনাটির মূল অভিযোগ উঠেছে নাবালিকার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। পছন্দের জিনিসপত্র কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল তরুণ। সেখানেই নাবালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ করে সে।
বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় অভিযুক্ত তরুণের আরও দুই বন্ধু। প্রথমে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও করে তারা। এরপর বন্ধুর সামনেই তার নাবালিকা প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করে বাকিরা। ঘটনাটি লুকিয়ে রাখার জন্য ভিডিও তুলে রাখা তারা। সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল তারা। যদিও শেষরক্ষা আর হয়নি। বর্তমানে পুলিশের জালে অভিযুক্ত প্রেমিকের দুই বন্ধু। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল মহারাজপুর এলাকায়। এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে দু'জনকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর রয়েছে। তাঁকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। চতুর্থ অভিযুক্ত যুবক এখনও পর্যন্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
গত সোমবার থানায় পৌঁছে গণধর্ষণের অভিযোগটি জানায় খোদ নির্যাতিতা নাবালিকা। সে জানায়, আসল ঘটনাটি ঘটেছিল ২৬ জুলাই। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সত্যজিৎ গুপ্ত জানিয়েছেন, ঘটনার দিন নাবালিকা তার প্রেমিকের সঙ্গে ছিল। প্রেমিকের নাম, মহেশ। ১৯ বছরের তরুণ ফতেহপুর জেলার বাসিন্দা। জিনিসপত্র কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মহারাজপুরের একটি নির্জন এলাকায় নাবালিকাকে নিয়ে গিয়েছিল মহেশ। সেখানেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক।
সেই সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশের আরও দুই বন্ধু। একজন ১৫ বছরের কিশোর ও আরেকজন ১৯ বছরের লাকি। সেই ঘটনার ভিডিও তোলে দুই বন্ধু। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, এই ভিডিওটি নিয়ে তারা নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করতে পারবে। নাবালিকার থেকে সাত হাজার টাকা চেয়েছিল তারা। কিন্তু যৌন নির্যাতনের পর নাবালিকা হাত জোড় করে জানায়, তার কাছে এক টাকাও নেই। সে ওই টাকা দিতে অপারগ।
অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার অভিষেক পাণ্ডে জানিয়েছেন, সেই রাতেই মহেশের আরও দুই বন্ধু নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করে। তখনই এলাকাটি ছেড়ে পালিয়ে যায় নাবালিকার প্রেমিকা। সেই সময় নাকের দুলটি দিয়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কেউ। নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে তারা।
রাতে নির্জন এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা একাই ছিল নাবালিকা। অবশেষে এক অভিযুক্ত তাকে বাইকে করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। গত সোমবার নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রাইম ব্রাঞ্চকে নিয়ে মহারাজপুর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মহেশের দুই বন্ধুকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৯ বছরের তরুণকে জেল হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে ১৫ বছরের কিশোরকে।
মহেশের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছে তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। গণধর্ষণের অভিযোগটি তারপরেই প্রমাণিত হবে। রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।