• বিশ্বের দরবারে নতুন উচ্চতা পেল ভারতীয় রেল, রইল ভিডিও
    আজকাল | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের ট্রেনে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আলোচনায় উঠে এসেছেন ভ্যাঙ্কুভারের কানাডিয়ান সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রেচেল রাইমার-হার্লি। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত তাঁর ভিডিও দেশি-বিদেশি দর্শকদের সমানভাবে আকর্ষণ করেছে।

    সম্প্রতি তিনি একটি এসি কামরায় ভ্রমণ করেন এবং সেই অভিজ্ঞতাকে বর্ণনা করেন কার্যকরী, আরামদায়ক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ হিসেবে। ভোর ৫টায় তাঁর যাত্রা শুরু হয়, যখন তিনি ব্যস্ত রেলস্টেশনে প্ল্যাটফর্ম ৭ খুঁজতে যান। ভিডিওতে দেখা যায়, অনেক যাত্রী মেঝেতে বিশ্রাম নিচ্ছেন—যা ভারতের বড় স্টেশনগুলিতে পরিচিত দৃশ্য।

    রেচেল উল্লেখ করেন, কিছু যাত্রী চলন্ত ট্রেনে উঠতে ঝাঁপ দেন, কারণ অনেক স্টেশনে ট্রেন অল্প সময়ের জন্য থামে। তবে তাঁর ট্রেন প্রায় ১০ মিনিট থেমেছিল, ফলে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে চড়তে ও বসতে পেরেছিলেন। কামরায় উঠে তিনি পান একটি কম্বল এবং বাদামি কাগজের ব্যাগে দেওয়া মৌলিক বিছানার সরঞ্জাম যা তাঁকে ভীষণ স্বস্তি দেয়।

    সাত ঘণ্টার যাত্রায় তিনি একটি সাধারণ নিরামিষ খাবার উপভোগ করেন এবং কামরার ভেতর দিয়ে হাঁটতে থাকা স্থানীয় খাবার বিক্রেতাদের সঙ্গেও আলাপ করেন। প্রায় ১২ ডলারের ভাড়ায় এমন আরামদায়ক ভ্রমণ তাঁকে মুগ্ধ করে। তাঁর মতে, ভারত ভ্রমণের সেরা উপায়গুলোর একটি হল রেলপথ। যেখানে দেশের দৈনন্দিন জীবনকে কাছ থেকে দেখা যায়।

    ভিডিওতে রেচেল প্রশংসা করেছেন ভারতীয় রেলের গতি, নির্ভরযোগ্যতা এবং যেভাবে এটি ভারতীয় সংস্কৃতির ভেতরে এক অনন্য দিক খুলে দেয়। তিনি আরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ভারতীয় রেলের টিকিট বুক করতে হয়, কোন কোন শ্রেণির কামরা রয়েছে এবং যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ-পরামর্শ কী হতে পারে।

    এই ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রায় এক লক্ষ ভিউ পেয়েছে এবং দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। দর্শকরা ক্যাপশনে দেওয়া তাঁর স্পষ্ট নির্দেশিকা ও ভ্রমণ টিপসকে দারুণভাবে গ্রহণ করছেন।

    একজন মন্তব্য করেছেন, “আমরা ট্রেনকে মানুষ যেমন বলে ততটা বিশৃঙ্খল পাইনি, বিশেষত উঁচু শ্রেণির কামরায়। স্লিপার ক্লাসও বেশ আরামদায়ক মনে হয়েছে। তবে ট্রেনে ওঠা সত্যিই একটা অভিজ্ঞতা ছিল। খাবার বিক্রেতাদের আসা-যাওয়া ভীষণ ভালো লেগেছে।”

    আরেকজন লিখেছেন, “এটা খুবই সহায়ক তথ্য, আমরা যখন ভারতে যাব তখন অবশ্যই ব্যবহার করব।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “আমি শুনেছি এটা নাকি এক দুর্ধর্ষ অভিজ্ঞতা, তবে আমি নিজেই চেষ্টা করতে চাই।”

    রেচেলের ভিডিও শুধু বিদেশি পর্যটকদের নয়, ভারতীয় দর্শকদেরও গর্বিত করেছে। তাঁরা মনে করছেন, বিদেশির চোখে ভারতীয় রেলব্যবস্থা ও সংস্কৃতির ইতিবাচক দিক তুলে ধরা দেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করছে।

    এই পোস্টের পর সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন ভ্রমণ নিয়ে নতুন উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই লিখছেন, রেলের ভেতরের ছোট ছোট মুহূর্ত—যেমন খাবারের স্বাদ, যাত্রীদের আলাপ বা জানলার বাইরের দৃশ্য—ভারতকে বোঝার এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। আর রেচেল রাইমার-হার্লির অভিজ্ঞতা সেই বার্তাই বিশ্বকে পৌঁছে দিয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)