সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নয়না চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের কসবার বাসভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র দেন তিনি। বৃহস্পতিবার কলেজে একটি জরুরি বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকেই নয়নার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে কি না তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত জুন মাসে কসবা ল কলেজ চত্বরে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কলেজেরই এক প্রাক্তনীকে। তিনি তৃণমূলের ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত। প্রাক্তনী হয়েও সেই কলেজেই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কলেজে দাদাগিরি চালানোর অভিযোগও রয়েছে। এই সব ঘটনা জেনেও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নয়নার বিরুদ্ধে। শুধু তা–ই নয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে পরোক্ষে মদত দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর জেরে ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভাইস প্রিন্সিপালের ভূমিকা।
এমনকি ঘটনার দিন রেজিস্টার খাতায় নয়নার স্বাক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই আবহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গড়া তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্যের দল কসবা কলেজে এসে নথিপত্র খতিয়ে দেখে। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। এরই মধ্যে কলেজে পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ইস্তফা দিলেন ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন নয়না। তিনি জানিয়েছেন, এখানে কাজ করতে গিয়ে প্রচুর মানসিক চাপের মধ্যে তাঁকে পড়তে হয়েছে। সেই কারণে পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে তিনি ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি চান কসবা ল কলেজ ভালো ভাবে চলুক। মনে করা হচ্ছে চাপের মুখেই ইস্তফা দিয়েছেন নয়না। যদিও তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে কি না তা আজকের বৈঠকে স্থির হবে।