বিধান সরকার ও অরূপ লাহা: হুগলিতে জাতীয় সড়কের উপরে দুর্ঘটনার কবলে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাস। প্রবল গতিবেগে যাত্রীবোঝাই বাসটি ধাক্কা মারে একটি লরির পেছনে। প্রবল সেই ধাক্কায় বাসের সামনের একাংশ খুলে যায়। ঘটনার কমপক্ষে ৩০ জন আহহত হয়েছেন। তাদের মধ্য়ে ২১ জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানেই একজনের মৃত্যু হয়।
উত্তরপ্রদেশ থেকে ওই তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসটি দেওঘর হয়ে যাচ্ছিল গঙ্গাসাগর। পথে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে হুগলির গুড়াপের কাছে বাসটি পেছন থেকে একটি লরিকে ধাক্কা মারে। বাসে ছিলেন ৫৬ জন যাত্রী। বাসটির গতি বেশি থাকায় লরিটিকে বেশ খানিকটা দূরে ঠেলে নিয়ে যায়। ধাক্কার চোটে বাসের বাঁদিকের অংশ খুলে বেরিয়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গুড়াপ থানার পুলিস। বাসে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে ২১ জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। বাকীদের স্থানীয় কমিউনিটি হলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসটির চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মৃত তীর্থযাত্রীর নাম রামদেব মিশ্র(৪৫)। পূর্নার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের যাতে থাকা খাওয়ার কোন অসুবিধা না হয় তা দেখা হচ্ছে এবং তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য একটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ধনিয়াখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র পুণ্যার্থীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন।
দুর্ঘটনা নিয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ডি এন্ড টি প্রিয়ব্রত বক্সী জানান ভোর চারটে নাগাদ উত্তরপ্রদেশ থেকে একটি বাস দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে উপর দিয়ে যাচ্ছিল। গঙ্গাসাগরের পূর্ণার্থী এরা। সেই সময় গুরাপের বসিপুর এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি চলন্ত লরিতে ধাক্কা মারে , এতেই আহত হন যাত্রীরা। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতদের বর্ধমান মেডিকেল হসপিটালে পাঠানো হয়েছে। ওখানেই একজন মারা যান। বাকিদের চিকিৎসা চলেছে। অন্যান্য পূর্ণার্থীদের গুড়াপ থানার কাছে একটি কমিউনিটি হলে রাখা হয়েছে। তাদের সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য বাস এলে তাদের তুলে দেওয়া হবে।