দু’জনেই সন্তানের মা! ভালোবাসারা টানে স্বামীর ঘর ছেড়ে সংসার পাতলেন বাংলার দুই যুবতী
প্রতিদিন | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছরের পরিচয়। সোশাল মিডিয়ায় আলাপ। প্রেমের টানে ঘর ছাড়লেন দু’জনেই। কিন্তু এতে নতুন কী? অনেকেই তা করেন। তবে এক্ষেত্রে যুবক-যুবতী নয়। প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর পড়ালেন যুবতী। হ্যাঁ! ঠিকই পড়েছেন। বিয়ে করলেন দুই বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলা।
নমিতা দাস। বয়স বছর একত্রিশ। বাড়ি মালদহে। বয়সে ছোট যুবতীর প্রেমের টানে ছুটে এলেন বীরভূমের দেবরাজপুরের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। দিনকয়েক আগে স্থানীয় শিব মন্দিরে সুস্মিতার সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছেন নমিতা। তবে আগের সংসার জীবন ছিল দুই যুবতীর। রয়েছে আগের পক্ষের সন্তানও। নমিতার চার বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর আগে তাঁর ডিভোর্স হয়েছে। অন্যদিকে, সুস্মিতারও ৮ বছরের কন্যা রয়েছে। তিনিও তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। তাঁর কন্যা বাবার সঙ্গেই থাকার কথা জানিয়েছে। এদিকে নমিতার সন্তান ছাড়া তাঁর কেউ নেই। বাবা-মা মারা গিয়েছেন আগেই। সুস্মিতার বাবা-মা তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
নমিতা জানাচ্ছেন, “বছর তিনেক আগে ইনস্টাগ্রামে আমাদের পরিচয় হয়। দু’বছর আগে থেকে আমরা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। তখন থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিই বিয়ে করব। দুবরাজপুরে বিয়ে করতে এসেছি। আমার বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজারে। তবে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকি। এবং সুস্মিতার বাড়ি বীরভূম জেলার খয়রাশোলে। আমরা দু’জনেই বিয়ে করে কলকাতায় ফিরে যাব।”
দুই যুবতীর বিয়ের পর কৌতূহলের শেষ নেই গ্রামবাসীর। হাওয়ায় ভাসছে কত কথা। আড়চোখে দেখছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার তাঁদের সিদ্ধান্তকে মেনেও নিয়েছেন। তবে সব কিছুকে পাত্তা দিতে নারাজ দুই যুবতী। নতুন জীবন শুরুর আশায় তাঁরা।