সুমন করাতি, হুগলি: দুর্ঘটনার কবলে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা পূণ্যার্থী বোঝাই বাস। মৃত্যু এক পূণ্যার্থীর। আরও ১২ জন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মঙ্গলবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুড়াপে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। একটি লরির পিছনে ওই বাসটি গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে বলে খবর। বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই কি এই দুর্ঘটনা? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫২ জন পূণ্যার্থীকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে গিয়েছিল। গতকাল, মঙ্গলবার দেওঘর থেকে পূণ্যার্থীরা পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। আজ, বুধবার ভোরে হুগলির গুড়াপে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বাসটি যাওয়ার সময় বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জানা গিয়েছে, বাসটি সজোরে গিয়ে একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারে। বাসটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, লরিটিকে নিয়েই সেটি বেশ কিছু সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
ভোরে বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে যান স্থানীয়রা। বাসের মধ্যে থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পূণ্যার্থীদের উদ্ধার করা হয়। খবর দেওয়া হয় গুড়াপ থানায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জখম যাত্রীদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। দুর্ঘটনায় এক পূণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জখম ১২ জন পূণ্যার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে খবর। বাকিদের গুড়াপেরই একটি কমিউনিটি হলে সাময়িক থাকার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু কী কারণে এই দুর্ঘটনা? গোটা রাত বাস চালানোর জন্য ভোরের দিকে কি চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারায় বাসের সামনে দিক সম্পূর্ণ দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। বাসটি যথেষ্ট গতিতে ছিল বলেও প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। ঘাতক বাসটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।