আবহের নাম রবীন্দ্রনাথ, প্রেম-পূজা-প্রকৃতিতে ভরল হৃদয়
আনন্দবাজার | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আবহের নাম দেওয়া যাক রবীন্দ্র। সুর ছড়িয়ে পড়ল আকাশে-বাতাসে-হৃদয়ে। সুখচর পঞ্চম রেপার্টরি থিয়েটার আয়োজিত ‘একক রবীন্দ্র সন্ধ্যা’য় সঙ্গীতশিল্পী মৌমিতা পালিতের সুর নিমজ্জিত করল শ্রোতাদের।
রবিবার উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহের রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত শারদোৎসবে একক সংগীত পরিবেশন করেছিলেন মৌমিতা। নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন রবীন্দ্র সুরে।
মহারাষ্ট্রের বাবা সাহেব অম্বেডকর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক পেয়ে সঙ্গীতে স্নাতকোত্তর হয়েছেন মৌমিতা। এর পরে হায়দরাবাদের বংশীলাল বদরুকা কলেজ অব মিউজিকে অধ্যাপনার কাজ করতেন তিনি। তবে সেই চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে এসেছেন তিনি। জীবনের শ্রেষ্ঠ সুর খুঁজে পেয়েছেন বাংলাতেই। বর্তমানে রাজ্য তথা দেশ ও বিদেশ জুড়ে তাঁর বহু ছাত্র-ছাত্রী। রবি অন্ত প্রাণ মৌমিতা আকাশবাণীর শিল্পী। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানেও উজাড় করে দেন নিজেকে। সম্প্রতি লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে এসেছিলেন সুরের মূর্ছনা। তাঁর গুরু পণ্ডিত যশপাল, চিত্রলেখা চৌধুরী, সুরঞ্জন রায়, দেবাশীষ রায়চৌধুরী ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালে শিল্পীর ‘কোন অচিনপুর’ নামক রবীন্দ্র সঙ্গীত অ্যালবাম যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল।
এ দিন সংগীতশিল্পীর সঙ্গে সঙ্গত করেছিলেন শিল্পী অম্লান হালদার, সুরজিৎ দাস ও তুহিন সেনগুপ্ত। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রীপর্ণা আঢ্য।
দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টার অনুষ্ঠান শেষ হলেও ঘোর কাটল না। কানে বাজতে থাকল ‘আজি এ আনন্দ সন্ধ্যা...’।