• গিজগিজ করছে বিষধর সাপ! ভারতের এই রাজ্যে পা রাখলেই পদে পদে বিপদ, ঘুরতে যাওয়ার আগে সাবধান
    আজকাল | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। নীল সমুদ্র, পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত, চা বাগান, সবুজে ঘেরা জঙ্গল, পাহাড়। কী নেই সেখানে। বছরভর যে সৌন্দর্যের টানে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমান এই রাজ্যে। যাকে এক কথায় অনেকেই বলেন, 'ঈশ্বরের আপন দেশ'! 

    ঠিক ধরেছেন। রাজ্যের নাম কেরল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিপদের হাতছানিও রয়েছে এই রাজ্যে। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিষধর সাপ রয়েছে কেরলে। শুধুমাত্র সংখ্যায় বেশি, তাইই নয়, সর্বাধিক প্রজাতির সাপ ঘুরছে কেরলের আনাচেকানাচে। 

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র কেরলেই ৩৫০ প্রজাতির সাপ রয়েছে। কিছু বিষধর, কিছু আবার বিষহীন। কিন্তু এত ধরনের প্রজাতির সাপ ভারতের আর কোনও রাজ্যে নেই‌। পরিবেশ, আবহাওয়া তো বটেই, পাশাপাশি সাপের প্রিয় খাদ্য ছোট ছোট পাখি, প্রাণীও ছড়িয়ে থাকে জঙ্গলে। 

    জানা গেছে, কোবরা, ক্রেট, রাসেল ভাইপার ছাড়াও একাধিক প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে কেরলের শহরে, গ্রামে। বিষহীন সাপ রয়েছে এই রাজ্যে। কখনও কখনও বাড়িতে, অফিসে, দোকানের মধ্যেও গিজগিজ করতে দেখা যায় সাপ। বিষধর সাপের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ব়্যাট স্নেক, কেরালা কাদা সাপ, ব্রাহ্মণ্য ব্লাইন্ড স্নেক প্রজাতির সাপ রয়েছে এই রাজ্যে। বর্ষাকালে সাপের উপদ্রবে জেরবার স্থানীয় বাসিন্দারা। 

    বর্ষাকালে সাপের কামড়ে মৃত্যু নিত্যদিনের ঘটনা যেন কেরলে। তবে বছরভর সাপের উপদ্রবের কারণে সতর্কতা জারি করে নানা ধরনের পদক্ষেপ করে প্রশাসন। তবে গ্রামবাসীরা সাপের উপদ্রবে আর ভয় পান না। বরং অনেকেই রীতি অনুযায়ী সাপকে দেবতা হিসেবে পুজো করেন। নাগদেবতা মন্দিরে সাপকে দেবতা হিসেবে আরাধনা করা হয়। নাগদেবতার মূর্তিও দেখা যায় বহু গৃহস্থ বাড়িতে। 

    পৃথিবীতে কিছু জায়গা আছে যা একইসঙ্গে অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর। দেখে মনে হয় যেন সিনেমার গল্প। সুন্দর সৈকত বা ছুটি কাটানোর জায়গা হিসেবে পরিচিত এই দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ। এমনকী স্থানীয়রাও প্রায় নিষিদ্ধ। কারণ এটি হাজার হাজার মারাত্মক সাপের আবাসস্থল। দ্বীপটিকে 'স্নেক আইল্যান্ড' বলা হয়। প্রচলিত ভাবে 'ইলহা দা কুইমাদা গ্র্যান্ড' নামে পরিচিত। ব্রাজিলের উপকূলে অবস্থিত এই দ্বীপ।

    দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের সাও পাওলো শহর থেকে প্রায় ৯০ মাইল দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত এই স্নেক আইল্যান্ড। আকারে খুব বড় নয় (মাত্র ১০৬ একর)। এখানে অসংখ্য বিষাক্ত সাপের বসবাস। লোকালয় থেকে দূরে বলে দ্বীপটি বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের কাছে অনন্য স্থান হয়ে উঠেছে। মাত্র ৪৩ হেক্টর (প্রায় ৬০টি ফুটবল মাঠের আকার) জুড়ে প্রায় ৪,০০০ প্রজাতির সাপ থাকে । তাই দ্বীপটি যতটা আকর্ষণীয়, ততটাই মারাত্মক।

    সাপগুলো স্নেক আইল্যান্ডে কীভাবে এসেছিল, তাও অদ্ভুত। প্রায় ১১,০০০ বছর আগে শেষ বরফ যুগের অবসান ঘটে। তখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি স্নেক আইল্যান্ডকে মূল ভূখণ্ড ব্রাজিল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেখানে তখন সাপগুলো আটকে যায়। হাজার হাজার বছর ধরে, শিকারীর ভয় এড়িয়ে, আর সীমিত খাবারের বিকল্প না থাকায়, একটি বিশেষ ধরণের সাপ শীর্ষ শিকারী হয়ে ওঠে। তা 'সোনালী ল্যান্সহেড' নামে বিখ্যাত। কালক্রমে এই সাপগুলো তাদের নিজস্ব উপায়ে বিকশিত হয়েছে। তাদের এমন বৈশিষ্ট্য, যা বিশ্বের অন্য কোনও প্রজাতির মধ্যে দেখা যায় না।
  • Link to this news (আজকাল)