আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রামে সাপের উপদ্রবে জেরবার সকলে। কিন্তু এক পরিবারেই শুধুমাত্র আতঙ্কের ছায়া। কারণ সেই পরিবারেই এক কিশোরীকে এখনও পর্যন্ত ৪১ বার সাপে ছোবল মেরেছে। প্রতিবারেই বেঁচে ফিরেছে সে। ৪১তম সাপের কামড়ের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। কিন্তু পরিবারের দাবি এবারেও সে বেঁচে ফিরবে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি জেলায়। জানা গেছে, ওই জেলার জহরপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী। ৪১ বার সাপের কামড় খেয়েছে সে। তা সত্ত্বেও প্রতিবার দিব্যি বেঁচেবর্তে বাড়ি ফিরে আসে। সাপের কামড়ের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে। তাকে দেখে হতবাক চিকিৎসকরাও।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গ্রামে সাপের উপদ্রব রয়েছে। কিন্তু প্রতিবার কিশোরীই সাপের ছোবল খায়। পরিবারের বাকি সদস্যদের উপর সাপের হামলা হয়নি এখনও পর্যন্ত। যেন বেছে বেছে শুধুমাত্র কিশোরীকেই ছোবল মারে সাপেরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মুনাবার আলির মেয়ে রাহমাতুল বানোকে আবারও সাপে ছোবল মারে। বর্তমানে বারাবাঁকির এক স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। এখনও পর্যন্ত অচৈতন্য অবস্থাতেই রয়েছে।
আজাদ নামের এক যুবক জানিয়েছেন, 'আমার বোনকে এর আগে ৪০বার সাপে ছোবল মেরেছে। বিভিন্ন জায়গায় সাপের হামলার কবলে পড়েছে সে। তাকে লখনউয়ের রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারেও ভর্তি করানো হয়েছিল। প্রতিবার সে বেঁচে ফিরেছে। এটা একেবারেই বিয়ের গল্পের মতো শোনালেও, বাস্তবে এটাই ঘটেছে।'
দেউয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বিরল। কিশোরীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। অতিপ্রাকৃত ঘটনা বলেই দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কেন বেছে বেছে কিশোরীকে সাপে ছোবল মারে তার কোনও ব্যাখ্যা নেই।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যেই সাপের উপর পাল্টা হামলা করতে দেখা গেছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পেশায় কৃষক ওই প্রৌঢ়ের নাম, মতবদল যাদব। সাইওহাত গ্রামে চাষবাস করেন ৫৫ বছরের এই প্রৌঢ়। দিন কয়েক আগেই নিজের বাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। বিছানায় একাই ছিলেন পরিবারের বাকি সদস্যরা ছিলেন অন্য ঘরে।
ঘুমের মধ্যে মতবদল টের পান, তাঁর হাতের উপর দিয়ে কিছু একটা সরে গেল। হালকা জ্বালাও করছিল হাতে। ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পান, বিছানায় একটি সাপ। সেটিই ঘুমের মধ্যে তাঁকে ছোবল মারে। সাপের সাহস দেখে রেগে আগুন হয়ে যান। ঘরে আলো জ্বেলে, সাপের উপর রাগ উগড়ে দেন।
সাপটিকে এক হাতে ধরেই কামড়ে দেন মতবদল। এরপর জ্যান্ত সাপটিকে চিবিয়ে চিবিয়ে গিলে ফেলেন। মাঝ রাতে তাঁর গলার আওয়াজ পেয়েই পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। এরপর সমস্ত ঘটনা সদস্যদের কাছে ফাঁস করেন তিনি। শুনেই আঁতকে ওঠেন সকলে। তড়িঘড়ি করে মতবদলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মতবদল। তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বর্ষায় গ্রামে সাপের উপদ্রব বাড়ে। সকলেই কমবেশি নাজেহাল।
কিন্তু জ্যান্ত সাপ চিবিয়ে খাওয়ার ঘটনা এই প্রথম তাঁদের গ্রামে ঘটল। ঘটনায় চমকে গেছেন স্থানীয়রাও।
প্রসঙ্গত, গত বছর খেলার ছলে একটি সাপকে কামড়ে দুই টুকরো করে দিয়েছিল এক খুদে। ছাদে বসে খেলাধুলা করছিল শিশুটি। আচমকাই কালো রঙের সাপের বাচ্চা এসে পড়ে তার সামনে। কিন্তু খুদের ধারণা ছিল, সাপটিও বোধহয় কোনও খেলনা। সমস্ত খেলনা ছেড়ে আচমকাই সাপটি ধরে, তারপর কামড়ে দেয়। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বিহারের গয়া জেলায়।
ঘটনাটি ঘটেছিল গয়া জেলায় জামুহার গ্রামে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি যখন ঘটে সেই সময় বাড়ির ছাদে খুদে একাই ছিল। তার মা ছিলেন নীচে। আচমকাই ছাদে উঠে এসে দেখতে পান, খুদের পাশেই সাপের দুই টুকরো দেহ। তড়িঘড়ি করে শিশুটিকে বাড়ির কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেনন, শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সাপটিকে কামড়ালেও তার কোনও ক্ষতি হয়নি। সাপটি বিষধর ছিল না। তাই শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়।