• 'তুমি তো কোনওদিন মা হতে পারবে না', রাজস্থানে মহিলার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা...
    আজকাল | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'কোনও দিন মা হতে পারবে না', খোঁটা দিতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু তারপর যা ঘটল, তা ওই মহিলার সঙ্গে, ভাবতেও পারেননি তিনি। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাজস্থানের দীগ জেলায় সন্তান ধারণে অক্ষমতার অভিযোগ তুলে এক বিবাহিত মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করেছেন বলে অভিযোগ। খোহ থানা এলাকার কাকরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, প্রথমে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মহিলার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে। পরে তদন্ত শুরু করতেই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে।

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হত্যার পর, বিষয়টি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে চালানোর জন্যই যুবতীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর খবর মেলার পরেই পুলিশ ওই যুবতীর শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে দেহ দাহ না করার নির্দেশ দেন। অভিযোগ ছিল, শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা দেহ দাহ করার জন্য অত্যধিক তাড়াহুড়োয় ছিলেন। তবে, সৎকারের আগেই, খোহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অর্ধ-পোড়া দেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। 

    খোহ থানার অফিসার মহেন্দ্র শর্মা নিশ্চিত করেছেন যে, 'কাকরা গ্রামে সরলা নামে এক বিবাহিত মহিলার হত্যার খবর পাওয়া গেছে।' তাঁর মতে, ঘরের ভেতরে মৃতদেহটি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। 

    মৃত যুবতী সরলা সম্পর্কে জানা গিয়েছে, সরলা মূলত নগর থানা এলাকার রৌনিজা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ২০০৫ সালে কাকরা গ্রামের বাসিন্দা অশোকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সরলার কোনও সন্তান ছিল না। ঘটনার পর, সরলার পরিবার দীগ হাসপাতালে গিয়ে তাঁর স্বামী অশোক এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করে। সরলার ভাই বিক্রান্ত অভিযোগ করেন, অশোক মাঝে মাঝেই সরলাকে মারধর করতেন। খোঁটা দিতেন মা না হতে পারার জন্য। তিনি বলেন যে, তাঁদের বিয়ের পর বারবার মারধরের ঘটনা ঘটায়, পরিবার হস্তক্ষেপ করার জন্য বেশ কয়েকবার গ্রামে গিয়েছিল, কিন্তু অশোক কেবল কয়েক দিনের জন্য ভদ্র আচরণ করে ফের মারধর করতেন। 

    অন্যদিকে সামনে এসেছে আরও একটি শিউরে ওঠা ঘটনা। প্রেমিকা গিয়েছিলেন ৬০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল, প্রেমিককে রাজি করাবেন বিয়েতে। ঘটনা ঘটল একেবারে বিপরীত। উদ্ধার হল যুবতীর দেহ। জানা গিয়েছে, ওই যুবক পেশায় স্কুল শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেমিকাকে লোহার রড দিয়ে খুনের। 

    রাজস্থানের ঝুনঝুনুর অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার মুকেশ কুমারী। তাঁর বিয়ে হয়েছিল আগেই। তবে প্রায় বছর দশ আগেই স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যান। গত বছরের অক্টোবরে, তিনি ফেসবুকে বারমেরের একজন স্কুলশিক্ষক মানারামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দু' জনের দেখা সাক্ষাত বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। মুকেশ প্রায়শই ঝুনঝুনু থেকে বারমেরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে মানারামের সঙ্গে দেখা করার জন্য গাড়ি চালিয়ে যেতেন।

    মুকেশ কুমারী চেয়েছিলেন পুনরায় বিয়ে করে থিতু হতে। মাঝে মাঝেই সেই প্রসঙ্গ তুলতেন। এবারেও তিনি গাড়ি চালিয়েই গিয়েছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে। মানারামেরও বিয়ে হয়েছিল আগেই। তবে মুকেশ কুমারীর বিবাহবিচ্ছেদ হলেও, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে এখনও। পুলিশ জানিয়েছে, মুকেশ মানারামকে বিয়ের পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। সাম্প্রতিককালে দু' জনের একাধিকবার বিবাদ হয়েছে এই প্রসঙ্গে। 
  • Link to this news (আজকাল)