দেবতা নয়, পুজো করা হয় তার বাহনকে, মালা পরিয়ে এবং পছন্দের খাবার দিয়ে ধূমধাম করে এই পুজো কোথায় হয় জানেন?...
আজকাল | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেবতার জায়গায় পুজিত হয় তার বাহন। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ধূমধাম করে পুজো করা হয় তাকে। প্রতি বছর ডুয়ার্সে বিশ্বকর্মার বাহন হাতির পুজো দেখতে উত্তরবঙ্গের গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ভিড় জমান পর্যটকরা। এবছরও ব্যতিক্রম হয়নি। পুজোয় সামিল হলেন বনকর্মী, বনবস্তির বাসিন্দা-সহ পর্যটকরা। বুধবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ডুয়ার্সের গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের অন্তর্গত গরুমারা বিট, ধূপঝোড়া বিট এবং বুধুরাম বিটের পিলখানাগুলোতে হাতি পুজো অনুষ্ঠিত হল। বন দপ্তরের উদ্যোগে বুধবার ডুয়ার্সের গরুমারা বন্যপ্রাণ শাখার অন্তর্গত তিনটি বিটে মোট ২৯ টি কুনকি হাতিকে পুজো করা হয়।
ডুয়ার্সের দক্ষিণ ধূপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে জেনি,হিরালি,শীলাবতী, মাধুরী-সহ বন দফতরের মোট ১০ টি পোষ্য কুনকি হাতিদের মালা পরিয়ে, সাজিয়ে পুজো করলেন মাহুত ও বনকর্মীরা। পিলখানাগুলোতে পুজোর পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিল স্পেশ্যাল মেনুরও। আর সেই পুজো দেখতেই ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসী এবং পর্যটকরা।
পুজো উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই কুনকি হাতিদের নিয়ে মাহুতদের ব্যস্ততা ছিল চরমে। কুনকি হাতিগুলিকে প্রথমে মূর্তি নদীতে ভালো করে স্নান করিয়ে হাতিদের গায়ে নানা রঙের চক দিয়ে নকশা এঁকে সাজানো হয়। এরপর প্রতিটি হাতির গায়ে লিখে দেওয়া হয় তাদের নাম। এরপর তাদের পুজো করা হয়। পুজোর আয়োজকরা নিজের হাতে কলা,আখ হাতিকে খেতে দেয়। শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে চলে পুজো। পুরোহিত সমস্ত নিয়মনীতি মেনে, মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজোর কাজ সারেন।পুজো উপলক্ষে এদিন কুনকি হাতিদের জঙ্গল পাহারার কাজ থেকে ছুটি দেওয়া হয়।আর এই হাতি পুজো দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমেছিল ধূপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে ।পর্যটকদের পাশাপাশি আশেপাশে গ্রামের মানুষজনও প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটিতে আনন্দে মেতে ওঠেন।
কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়া এক ব্যক্তি বলেন, জিনিসটা সত্যি অন্যরকম। এর আগে আমার এক পরিচিত এই পুজোর সাক্ষী হয়েছেন। শোনার পর আমার খুবই কৌতুহল হয়েছিল জিনিসটা ঠিক কীরকম হয় সেটা জানার। ফলে যখন ডুয়ার্সে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা হল তখন ইচ্ছা করেই এই সময়টা বেছে নিয়েছিলাম। যাতে পুজোয় সাক্ষী হতে পারি। আজ সত্যি দারুন লাগল।