• বাংলা ইন্ডাস্ট্রি বড় হলে আমি সবথেকে বেশি খুশি হব, পর্দার ‘ভবানী পাঠক’ হয়ে ওঠার গল্প শেয়ার করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • স্বরলিপি ভট্টাচার্য: এবারের পুজো তো স্পেশাল?

    পুজো সবসময়ই স্পেশাল। সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। আমাদের জীবন থেকে আনন্দ কমে যাচ্ছে, আমাদের আনন্দ বিতরণ করা উচিত। এটা বোধহয় মা আসলেই হয়। এবার তো দেবীপক্ষে ‘দেবী চৌধুরাণী’ (হাসি)।

    ইতিহাস নির্ভর ছবি কি বেশি কঠিন?

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরাণী’। প্রযোজকদের ধন্যবাদ। অনেকটা সময় নিয়ে ছবিটা তৈরি হয়েছে। পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র ভালো কাজ করেন। আমার খুব সমসাময়িক মনে হয়েছে ছবিটা। ভবানী পাঠক ঐতিহাসিক চরিত্র, যে দেবী চৌধুরাণীকে তৈরি করেছে। নারীর মধ্যে অন্য শক্তি রয়েছে। সেটা ভবানী পাঠক কীভাবে ব্যবহার করেছিলেন, সেটা শুভ্রজিতের চিত্রনাট্যে বড় দিক। বহুদিন পরে সংস্কৃত দারুণ ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

    আপনি ‘দেবী চৌধুরাণী’র শিক্ষক, আপনার শিক্ষকদের কথা বলুন...

    আমার শিক্ষকরা অনেকেই আজ নেই। ভট্চায্যি বাবুর কাছে পড়েছি। মিসেস রায়ের কথা মনে পড়ছে। প্রায় ১৫ বছর আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। একলা থাকতেন। আমি কলকাতা পুলিশের বয়স্কদের দেখভালের যে উদ্যোগ ‘প্রণাম’— তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলাম। মা বড় শিক্ষিকা। অভিনয় জগতে সত্যজিৎ বাবু, উত্তম জেঠুর সঙ্গে কাজের সুযোগ পাইনি। কিন্তু ওঁরা আলাদা চ্যাপ্টার। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কাছ থেকে পেয়েছি। গুরু, শিক্ষক। অমিতাভ বচ্চনও তাই। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতেও পথ দেখিয়েছেন।

    ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনরা কেমন কাজ করছেন?

    ভালো কাজ করছে। ওদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আমি যখন শুরু করেছি, তখন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির খরা। সেখান থেকে একটু একটু করে পরিশ্রম করেছি। আমি একলা নই। পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলী সকলে পরিশ্রম করেছেন। ইন্ডাস্ট্রি বড় করার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের পাশে থাকা আমার দায়িত্ব। ভবিষ্যতে যদি আমার ছেলে এখানে ঢোকে, ইন্ডাস্ট্রি আরও বড় হয়, আমি সবথেকে বেশি খুশি হব।

    প্রাইম টাইমে বাংলা ছবি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলবেন?

    এমন একটা দারুণ পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোথাও নেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই। একটাই ভয়, যখন বিপদে পড়ি, তখন একটা জিনিসকে আমরা সময় দিই। বিপদ কেটে গেলে আগামী কাল অন্য কেউ আবার এই সমস্যায় পড়তে পারে, সেটা আর ভাবি না, এটা মানুষের স্বভাব। আমার ভাবনাটা একটু আলাদা। পরবর্তী কালে যারা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করবে, তাদের জন্য বিষয়টা সহজ করা লক্ষ্য। আমার ধারণা, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছব। বাংলা ছবির সঙ্গেও বাংলা ছবির লড়াই হয়। কিন্তু ‘অঙ্ক কী কঠিন’, ‘শেষ পাতা’র মতো ছবিও সঙ্গে রাখতে হবে। এসব ছবির ব্যবসা ১০ কোটি টাকা নাও হতে পারে। কিন্তু এগুলো বাংলার ঐতিহ্য।

    আপনার অভিনীত চরিত্রের সংলাপ থেকেই জিজ্ঞেস করি, টলিউড এবং বলিউড— আপনার কাছে কোনটা ‘ডাল-ভাত’, কোনটা ‘লাক্সারি’?

    (হাসি) টলিউডে ভাত, ডাল খেয়ে বড় হয়েছি। আবার লাক্সারিও আমাকে বাংলা সিনেমা দিয়েছে। দমদম থেকে টালিগঞ্জ বাসে যেতাম। লাঞ্চে রাস্তার কলের জল খেতাম। আবার বাংলা ছবি করেই বাড়ি, গাড়ি করেছি। আমার বিরিয়ানিটাও এরাও খাইয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)