• এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে মামলা মৃত চার জনের পরিবারের
    এই সময় | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা প্রায় তিন মাস পরে মামলা দায়ের করল চারটি পরিবার। ওই দুর্ঘটনায় মৃত চার জনের পরিবার এই মামলা দায়ের করেছে।

    মঙ্গলবার ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে ডেলাওয়্যার সুপিরিয়র কোর্টে। তাঁদের অভিযোগ, অবহেলা এবং ত্রুটিপূর্ণ জ্বালানি ‘কাটঅফ সুইচ’ আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার কারণ। এই দাবি করে ওই বিমানের নিহত চার যাত্রীর পরিবার বোয়িং এবং হানিওয়েলের বিরুদ্ধে ডেলাওয়্যার সুপিরিয়র কোর্টে মামলা দায়ের করেছে।

    গত ১২ জুন লন্ডনগামী ফ্লাইটটি ভেঙে পড়ে। আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার পরেই ভেঙে পড়ে ওই বিমান। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৬০ জনের। মৃতদের মধ্যে ২২৯ জন ছিলেন বিমানের যাত্রী। দুর্ঘটনার পরে বেঁচে গিয়েছিলেন বিমানের এক যাত্রী।

    সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, ওই দুর্ঘটনার জন্য বিমান প্রস্তুতকারক এবং জ্বালানি কাটঅফ সুইচ সরবরাহকারীকে দায়ী করেছেন মামলাকারীরা। তাঁদের দাবি, দুটি সংস্থাই একটি পরিচিত নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

    পরিবারগুলির দাবি, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের জ্বালানি কাটঅফ সুইচের লকিং মেকানিজম হয় বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অথবা সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত ছিল। তাঁদের দাবি, থ্রাস্ট লিভারের ঠিক পিছনে স্থাপন করা হলে, সুইচটি অসাবধানতাবশত বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তা টেক-অফের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বালানি সরবরাহ এবং থ্রাস্টকে ব্যাহত করতে পারে। তাঁদের তরফে দাবি করা হয়েছে, সুইচটিকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রেখে বোয়িং এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে ‘স্বাভাবিক ককপিট কার্যকলাপের ফলে অসাবধানতাবশত জ্বালানি খরচ কমে যেতে পারে।’ সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘অনিবার্য বিপর্যয় রোধে হানিওয়েল এবং বোয়িং কিছুই করেনি।’

    পরিবারগুলির অভিযোগ বোয়িং এবং হানিওয়েল সুইচের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন ছিল। মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) কর্তৃক ২০১৮ সালে জারি করা একটি পরামর্শের কথাও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল কান্তাবেন ধীরুভাই পাঘাদল, নাব্য চিরাগ পাঘাদল, কুবেরভাই প্যাটেল এবং বাবিবেন প্যাটেলের। তাঁদের আত্মীয়রাই ওই মামলা দায়ের করেছেন। তবে এই নিয়ে বোয়িং এবং হানিওয়েলের এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    ওই দুর্ঘটনার পরেই ভারত, আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সংস্থা তদন্ত শুরু করেছিল। ফ্লাইট ওড়ার মুহূর্তে ককপিটে পাইলটদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল বলেও একটি তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। জুলাই মাসেই, মার্কিন এফএএ-এর প্রশাসক ব্রায়ান বেডফোর্ড জানিয়েছিলেন যে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি বা জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অনিচ্ছাকৃত মুভমেন্ট ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নয়।

  • Link to this news (এই সময়)