• বিমানের ভিতরে কীভাবে কাজ করে ওয়াইফাই পরিষেবা, জানলে অবাক হবেন
    আজকাল | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: যারা বিমানে চড়েন তারা প্রায় ৩৫ হাজার ফুট ওপরে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকে কীভাবে এতটা উচ্চতায় তারা সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়ে থাকেন। সেখান থেকেই অনেকে নিজের ফোন বা ল্যাপটপ থেকে ইমেল করা বা রিলস দেখে সময় কাটান। প্রতিটি বিমানে ওয়াই ফাই থাকা এখন অতি সাধারণ একটি বিষয়। 

    তবে এটা সকলের মনে প্রশ্ন থাকে কীভাবে এতটা উচ্চতায় বিমানের মধ্যে কোনও তার ছাড়াই ওয়াইফাই থাকে। বিশেষত বিমান যেখানে একস্থান থেমে থাকে না। এই গোটা প্রক্রিয়াটি কোনও ম্যাজিক নয়। এটি প্রযুক্তি এবং বিশ্বের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকার একটি কাজ। 

    যেমনভাবে আমাদের মোবাইল ফোন রাস্তায় থাকার সময় একটি টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে চলে যায়। ঠিক তেমনভাবে বিমানের নেট কানেকশন একটি টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে চলে যায়। ফলে সেখান থেকে নেট কানেকশনের কোনও সমস্যা থাকে না। 

    এখানে আরও একটি বিষয় কাজ করে থাকে। সেটি হল স্যাটেলাইট প্রযুক্তি। প্রতিটি বিমানে একটি করে ছোটো স্যাটেলাইট বসানো থাকে। এর প্রধান কাজ হল বিশ্বের বাকি স্যাটেলাইটের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ রাখা। এরফলেই সেই বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। এটিও নেট ধরে রাখতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে। 

    প্রতিটি বিমানে একটি করে হাইব্রিড সিস্টেম থাকে। এটি আকাশের সঙ্গে মাটির সম্পর্ক ধরে রাখে। ফলে সেখান থেকে বিমানের মধ্যে ওয়াইফাই অতি সহজে কাজ করতে পারে। বিমানে যারা যাত্রী থাকেন তারা শুধু এর সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে নেন।

    বিমানের যাত্রীদের সর্বদা সেখানে ওঠার পর তাদের এয়ারপ্নেন মোড অন করতে বলা হয়। তার প্রধান কারণ হল এরফলে বিমানে সেলুলার সিগন্যাল যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়। 

    প্রসঙ্গত, আভ্যন্তরীণ বা ডোমেস্টিক উড়ানের ক্ষেত্রে এবার বিমানের মধ্যেই পাওয়া যাবে ওয়াইফাই পরিষেবা। এই সংস্থাই ভারতে প্রথম বিমানে ওয়াইফাই চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এয়ারবাস এ৩৫০, বোয়িং ৭৮৭-৯, এয়ারবাস এ৩২১নিও বিমানের যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে সমাজমাধ্যম দেখতে পারবেন সহজেই। ১০ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় আপনি সহজেই আপনার প্রিয়জনকে টেক্সট করতে পারবেন না।

    এই ওয়াইফাই পরিষেবা ইতিমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক রুটে নিউইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস ও সিঙ্গাপুরে দেওয়া হচ্ছে। এখন এটি পাইলট প্রকল্প কর্মসূচির অধীনে আভ্যন্তরীণ রুটেও চালু করা হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বিমানেও এই পরিষেবা চালু করার কথা ভাবছে সংস্থা। এয়ারলাইন্সের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ওএস সহ ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, এবং স্মার্টফোনে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পাওয়া যাবে।

    এয়ার ইন্ডিয়ার চিফ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অফিসার রাজেশ ডোগরা জানান, কানেক্টিভিটি এখন আধুনিক ভ্রমণের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তিনি জানিয়েছিলেন যে, 'আমাদের যাত্রীরা ওয়েবে সংযোগ করার সুবিধে আনলে তার প্রশংসাই করবে। বিমানে চড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করবে যাত্রীরা।

    প্রথমে আপনার ডিভাইসে ওয়াইফাই চালু করতে হবে, ওয়াইফাই সেটিংসে যেতে হবে।এরপরে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ক্লিক করতে হবে।এবার আপনি আপনার ব্রাউজারে এয়ার ইন্ডিয়ার পোর্টালে গিয়ে আপনার পিএনআর ও পদবি লিখতে হবে।এরপরেই বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়ে যাবেন।

    টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ারলাইন এয়ার ইন্ডিয়া দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্দান্ত অফার নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে 12 বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীরা এয়ার ইন্ডিয়ার সব ফ্লাইটে বেস ভাড়ায় 10 শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, 10 কেজি অতিরিক্ত ব্যাগেজ সহ অন্যান্য অনেক সুবিধা পাবেন। শুধু তাই নয়, এটি শুধুমাত্র ডমেস্টিক ফ্লাইটের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্যও প্রযোজ্য হবে। এইভাবে সব মিলিয়ে ছাত্ররা এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বুকিংয়ে 25 শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতে পারে।
  • Link to this news (আজকাল)