জংলা পোশাক পরে কর্ণাটকে ব্যাংক ডাকাতি, ১ কোটি নগদ ও ২০ কোটির গয়না লুট
বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বেঙ্গালুরু: পরনে সেনার মতো জংলা পোশাক। মুখে মাস্ক। এভাবে ব্যাংকে ঢুকে পড়েছিল একদল। নিরাপত্তারক্ষীরা জংলা রঙের পোশাক দেখে তাদের বাধা দেননি। কিন্তু ভিতরে ঢুকেই স্বমূর্তি ধারণ করে লুটেরাদের দল। ব্যাংককর্মীদের হাত-পা বেঁধে নগদ ১ কোটি টাকা এবং ২০ কোটির গয়না নিয়ে চম্পট দেয় তারা। কর্ণাটকের বিজয়পুরা জেলার চাদাচান শহরে স্টেট ব্যাংকের শাখায় এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিন দুষ্কৃতী ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে পড়ে। দেশি পিস্তল এবং ছুরি দেখিয়ে ব্যাংক কর্মী ও গ্রাহকদের ভয় দেখায় তারা। ব্যাংকের ম্যানেজার এবং কর্মীদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। উপস্থিত গ্রাহকদেরও বেঁধে ফেলে তারা। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানানো হয়েছে, দুষ্কৃতীরা প্রথমে ম্যানেজারকে টাকা রাখার ভল্ট খুলতে বলে। এরপর লকার খুলে অলঙ্কার বার করার নির্দেশ দেয়। দুষ্কৃতীদের একজন ম্যানেজারকে বলে, ‘তাড়াতাড়ি টাকা বার কর। না হলে মেরে ফেলব।’ এরপর সেই টাকা এবং অলঙ্কার নিজেদের ব্যাগে ভরে তারা পালিয়ে যায়। তার আগে ব্যাংক ম্যানেজার ও কর্মীদের শৌচাগারে আটকে দেয় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছন পুলিস সুপার লক্ষ্মণ নিমবারগি। তিনি বলেন, দুষ্কৃতীরা ভুয়ো নাম্বার প্লেট লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেছিল। ডাকাতির পর প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্রের পান্ধারপুরের পথ ধরে তারা। সোলাপুরে ঢুকে একটি মোটর সাইকেলের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গাড়ির ধাক্কা লাগে। এই নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের বচসাও হয়। তবে এরপর তারা লুটের সম্পত্তি নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, একটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রে যৌথ তল্লাশি শুরু হয়েছে।