নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নয়া জিএসটি কাঠামো শুরু হবে ২২ সেপ্টেম্বর। সময়টা আবার উৎসবের মরশুম। ফলে এই দুয়ের যোগফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে আর্থিক জোগানের জোয়ার আসবে বলে আশা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। বুধবার জিএসটি সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, জিএসটি হার কমে যাওয়ার কারণে ২ লক্ষ কোটি টাকা যুক্ত হবে অর্থনীতিতে। তিনি বলেন, ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ জিএসটির দুই ধাপ বাতিল হয়ে গেল। এর ফলে যে, অতিরিক্ত টাকা আম জনতার সাশ্রয় হল, সেটাই তারা পণ্যক্রয়ে ব্যয় করবে। আর এই অঙ্কটা ২ লক্ষ কোটি টাকা। এই টাকা এর আগে হলে দেশাবসীকে ট্যাক্স দিতে হতো। এখন যেহেতু জিএসটি কমে গেল, তাই আর ট্যাক্স দিতে হবে না। তাঁর কথায়, এই যে ২২ তারিখ থেকে নতুন কাঠামোর জিএসটি আসছে, সেখানে অন্তত ৯৯ শতাংশ পণ্যই চলে আসবে ৫ শতাংশের মধ্যে। একইভাবে যে পণ্যগুলি এখন ২৮ শতাংশের মধ্যে রয়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্তত ৯০ শতাংশ চলে আসবে ১৮ শতাংশের আওতায়। তার জেরে ২ লক্ষ কোটি টাকার সাশ্রয় হবে আম জনতার। এই পরিসংখ্যান দিয়ে অর্থমন্ত্রী বস্তুত স্বীকার করলেন যে, এতদিন এই অতিরিক্ত দুই ধাপের জিএসটি আদায় করে ২ লক্ষ কোটি টাকা করে বছরে আদায় করছিল সরকার। আর রাজকোষ পূর্ণ হচ্ছিল। এখন এই জিএসটির দুই ধাপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারই বুঝিয়ে দিল যে, এই দুই জিএসটি হার না রাখলেও সরকারের বিরাট কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না। অর্থাৎ আট বছর ধরে দেশবাসীর উপর অতিরিক্ত কর চাপিয়ে রাখা হয়েছিল। এদিনই অর্থমন্ত্রী বলেছেন, জিএসটি আদায় ২০১৮ সালে ছিল ৭ লক্ষ কোটি টাকা। সেটাই মাত্র ৭ বছরের মধ্যে হয়েছে ২২ লক্ষ কোটি টাকা (২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে)। তাঁর কথায় ইউপিএ সরকারের আমলে ছিল কর-সন্ত্রাস। আমাদের লক্ষ্য, ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ট্যাক্স’। অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্য থেকে নতুন জল্পনার জন্ম হচ্ছে যে, তাহলে কি আগামী দিনে আবার জিএসটি কাঠামোর বদল ঘটবে? অর্থাৎ এরপর একটিই ধাপের জিএসটিই থাকবে?