নার্সিংহোমে প্রসূতির মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ, রাজ্য সড়কে দেহ রেখে বিক্ষোভ
বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, চাঁচল: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করে নার্সিংহোমের বাইরে প্রসূতির দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাল পরিবার। বুধবার দুপুরে মালদহের চাঁচল সদরের কলেজ মোড় এলাকার নার্সিংহোমের বাইরে তীব্র উত্তেজনার মাঝে ওষুধের দোকানের শাটারও নামিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাস্থলে চাঁচল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত এমি খাতুন (২৪) চাঁচল থানার কেন্দুয়া এলাকার বাসিন্দা। প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে সোমবার সকালে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় এমিকে। বিকেলে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তান প্রসবের পর রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার ভোররাতে মালদহের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করায় পরিবার। বুধবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এমির। পরিবারের অভিযোগ, চাঁচলের নার্সিংহোমে সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার না হওয়ায় তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এদিন মালদহ থেকে দেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে চাঁচলের নার্সিংহোমের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান এমির আত্মীয়রা। সন্ধ্যায় ফের চাঁচল-আশাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
মৃতার মামা সফিউর রহমান বলেন, নার্সিংহোমে অব্যবস্থা ও চিকিৎসার গাফিলতিতেই মেয়েটা চলে গেল। নার্সিংহোমের মালিক জিয়াউল বারি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর মন্তব্য, রোগীকে খারাপ অবস্থায় নার্সিংহোমে আনা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেফার করেছিলাম। চাঁচল থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, পরিবার কোনও অভিযোগ করেনি।