• মাগুরমারির মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজোর এবার পঞ্চম বর্ষ, জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি
    বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • উজ্জ্বল রায়, ধূপগুড়ি: গৃহকাজ সামলে মায়ের পুজোর ব্রতী হন ধূপগুড়ির পূর্ব মাগুরমারির গিলান্ডি বাজার এলাকার মহিলারা। হাতে মাত্র ক’টা দিন। এই কয়েক দিনেই পুজোর মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা সমস্ত কিছুই করতে হবে মহিলাদের। তাই ব্যস্ততা তুঙ্গে পূর্ব মাগুরমারির দি ইয়ং সোসাইটি ক্লাবের মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যদের। আর তাই গীতা, অঞ্জনা, মল্লিকা, বিমলার মতো মহিলারা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গৃহকর্ম সেরে পুজো মণ্ডপের কাজ তদারকি করছেন। দল বেঁধে চাঁদা তোলার দায়িত্ব রয়েছেন জবা, আরতি, জয়ন্তীর মতো মহিলাদের কাঁধে। মায়ের পুজোর জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাঁচিয়ে রেখেছেন মমতা, বিন্দেশ্বরীর মতো মহিলারা। 

    এই পুজো শুরু হয়েছিল চার বছর আগে। ওই সময় স্থানীয় মহিলারা অনুভব করেন পূর্ব মাগুরমারির আশেপাশে দুর্গাপুজো নেই। বয়স্কদের অন্য পাড়ায় পুজো দেখতে যান। আর এতেই কোথাও যেন আনন্দের ভাটা পড়ে যায়। তাই চার বছর আগে এলাকার মহিলারা ভাবলেন, পাড়াতেই পুজো করলে কেমন হয়! শুরু করলেন কয়েকজন মিলে পুজো করা। এবার পুজোর পঞ্চম বর্ষ। 

    বর্তমানে পাড়ার সকলের প্রিয় পুজো হয়ে উঠেছে এই দুর্গাপুজো। তবে এখানকার দুর্গাপুজোর বিশেষ মাত্রা রয়েছে। গ্রামের সকল মহিলারা এক রঙের শাড়ি পরে শোভাযাত্রা করে প্রতিমা মণ্ডপে নিয়ে আসেন, উমাকে বরণ করেন। মহিলারাই ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বাড়িতে বাড়িতে তাঁরাই ভোগের প্রসাদ দিয়ে আসেন। রাজ্য সরকারের পুজো অনুদান এবারও তাঁরা পাননি। সেটা পেলে পুজো আরও জাঁকজমক হতো বলে জানান তাঁরা। 

    পুজো কমিটির সভাপতি স্বর্ণলতা রায় বলেন, সরকারিভাবে সাহায্য পেলে খুব উপকৃত হতাম। আরও বেশি লোককে ভোগের প্রসাদ দিয়ে আসতে পারতাম। একই কথা পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ শেফালী রয়ের। বলেন, এলাকায় একসময় কোনও পুজো ছিল না। আমরা‌ মহিলারা মিলে এই পুজোর উদ্যোগ নিই। ‌কালক্রমে এই পুজো হয়ে ওঠে এলাকার সেরা পুজো। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক রবীন রায় বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি রাখব পরের বছর পুজোর সময় যেন সরকারি অনুদান মেলে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)