• নেতাদের মতিগতি বোঝা দায়! পদ্মের জনসংযোগে সহযোগী সংগঠন
    বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: রামনবমী নয়, বাংলার প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। সেটা দেরিতে হলেও বুঝেছেন বিজেপির দিল্লির নেতারা। কয়েকদিন আগে রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চ থেকে ‘জয় মা দুর্গা’ বলে গিয়েছেন। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে এসে তিনি বলেন, আগে তো বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। আর এখন বলছেন জয় মা দুর্গা। তবে শুধু মুখেই ধ্বনি তোলা নয় পুজোর দিনগুলিতে প্রতিটি জেলা নেতৃত্বকে জোরকদমে জনসংযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বোধনের আগে বুথে বুথে কাপড় বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সরাসরি বিজেপি নেতারা এই কাজ করবেন না। দলের সহযোগী সংগঠনগুলি এই কাজ করবে। ভোটের সময় একাধিক সংগঠন বিজেপির হয়ে কাজ করে। তারাই সামনের সারিতে থাকবে। তবে কোথাও কোথাও বিজেপি নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিজেপি নেতা রাজু পাত্র বলেন, প্রতি বছরই পুজোর সময় আমরা নানা কর্মসূচি নিয়ে থাকি। এবারও তেমনটাই হবে।

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার নেতাদের উপর শীর্ষ নেতৃত্ব ভরসা করতে পারছে না। নির্বাচনের আগে ‘হাইপ’ তোলার জন্য নরেন্দ্র কাপের আয়োজন করেছে। বুধবার তার ফাইনাল খেলা ছিল। রাজ্যের নির্দেশ ছিল প্রতিটি মণ্ডল থেকে টিম এনে জমজমাটভাবে খেলার আয়োজন করতে হবে। যুব সমাজের মধ্যে উন্মাদনা তৈরির জন্যই তা বলা হয়। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি বলে দলের কর্মীদেরই অভিযোগ। 

    তাঁরা বলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ফুটবল দলের অভাব নেই। তারপরও দল খুঁজতে কালঘাম ছুটে গিয়েছে। প্রতিযোগিতা নিয়ে সেভাবে প্রচারও করা হয়নি। কোনওরকমে প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। এসব কারণেই জেলা নেতৃত্বের উপর শীর্ষ নেতৃত্বের ভরসা কমছে। দলের সহযোগী সংগঠনগুলিকে তারা আরও বেশি সক্রিয় করতে চাইছে। কাপড় বিলির মাধ্যমেই তাদের ময়দানে নামানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠীর আগে এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তৃণমূল এই কাজ বহুদিন ধরেই করছে। শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরাও নিজেদের উদ্যোগে দুঃস্থ পরিবারগুলির হাতে কাপড় তুলে দেন। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, আমরা এসব কাজ বহু বছর ধরে করছি। শুধু বস্ত্র কেন, আরও বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী দিই। সামনে ভোট আছে। তাই বিজেপির বস্ত্র বিতরণের কথা মনে পড়েছে।

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে টানতে তারা অর্থ সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তাদের সাহায্য‌ নেওয়ার জন্য অধিকাংশ ক্লাব এগিয়ে আসছে না। ‘বন্ধু’ ক্লাব খুঁজতেও তারা বেগ পাচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)