• সারাদিন বাস চলবে তিলপাড়া ব্যারাজে, সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
    বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: তিলপাড়া ব্যারাজের সেতু দিয়ে এবার সারাদিনই বাস চলাচল করতে পারবে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়ে বীরভূম জেলা প্রশাসন নয়া নির্দেশকা জারি করেছে। ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এবার থেকে ব্যারাজের সেতু দিয়ে খালি ট্রাক, লরি, ডাম্পার চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রইল না। প্রতি ঘণ্টায় দশ কিলোমিটার বেগে যাত্রী সহ বাস ও খালি পণ্যবাহী গাড়ি ওই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে। অন্যদিকে, এদিনই রাজ্য সেচদপ্তরের তরফে ব্যারাজ সংলগ্ন ময়ূরাক্ষীর ডাউন স্ট্রিমে কজওয়ে তৈরির চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে অনুমতি পাওয়ার পরেই কজওয়ে নির্মাণের তোড়জোর শুরু হয়েছে। শুরুতেই ব্যারাজের ডাউন স্ট্রিমে কজওয়ে নির্মাণের জন্য স্থান নিশ্চিত করা হবে। রাজ্য সেচদপ্তরের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, আমাদের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

    সেচদপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, বর্ষার মরশুমের শুরুতেই তিলপাড়া ব্যারাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর গত ৯ আগস্ট থেকে জরুরিভিত্তিতে সংস্কার শুরু হয়েছিল। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যারাজের সংস্কার শেষ হয়। তারপর জেলা প্রশাসন ওই ব্যারাজের উপর থাকা সেতু দিয়ে বাস চলাচলের অনুমতি দেয়। তবে দিনে ১১ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। মূলত এসএসসি ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই জেলা প্রশাসন ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এদিন প্রশাসন সারাদিন বাস চলাচলের অনুমতি দেয়। সেইসঙ্গে খালি পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের অনুমতিও দেওয়া হয়। প্রশাসনের এই নির্দেশে খুশি জেলার বাস সহ ট্রাক ও ডাম্পারের মালিকরা। বিশেষ করে কজওয়ে নির্মাণের অনুমতি মেলায় জেলা ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উচ্ছ্বসিত। 

    সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আনাস আহমেদ বলেন, তিলপাড়া ব্যারাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকেই বিকল্প পথে জন্য আমরা বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেছিলাম। অবশেষে ছাড়পত্র মিলল। এবার আমরা ব্যারাজ থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে ডাউন স্ট্রিমে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর কজওয়ে তৈরি শুরু করব। ডবল লেয়ার হিউম পাইপ বসিয়ে কজওয়ে তৈরি করা হবে। ওই কজওয়ে দিয়ে যে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারবে। বীরভূম জেলা বাস মালিক সমিতির সহ সম্পাদক তন্ময় পৈতুণ্ডী বলেন, জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আমরা যথেষ্টই খুশি। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছিল। প্রশাসনের এই নির্দেশে আমাদের সুদিন ফিরতে চলেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)