• বালি তুলে জায়গা সমান না করায় তৈরি হয়েছে জলাশয়, ডুবে মৃত্যু দুই বালকের
    বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার লট নম্বর আট এলাকায়। মৃত দুই শিশুর নাম সুদীপ্ত সিংহ (১১) ও ফারুক খান (৭)। সুদীপ্ত পঞ্চম ও ফারুক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে জমে যাওয়া পলিমাটি ড্রেজিং করে তোলা হয়। সেই মাটি ও সাদা বালি লট নম্বর আটের বিভিন্ন এলাকায় রাখা হয়েছিল। পরে সেই জমে থাকা বালি বিক্রি করা হতো। তাই ওই এলাকাগুলিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকালে সেখানে জল জমে গিয়ে ছোট ছোট জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। বুধবার দুপুরে তেমনই এক জলাশয়ের পাশে সুদীপ্ত ও ফারুক খেলা করছিল। তখন হঠাৎই দু’জনে জলাশয়ে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের দেখতে পান। এরপরই তাঁরা ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা অঞ্জলি পাত্র বলেন, সুদীপ্ত মামারবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। মঙ্গলবার লট নম্বর আটে নিজেদের বাড়িতে এসেছিল। অন্যদিকে ফারুক মামারবাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। এদিন দু’জনে একসঙ্গে তিন ও চার নম্বর জেটিঘাটের মাঝখানে সাদা বালির স্তূপের কাছে খেলা করছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটে। 

    এদিকে লট নম্বর আটে জমিয়ে রাখা বালি কেটে নেওয়ার পর তৈরি হওয়া বড় বড় গর্ত নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বালি কেটে নেওয়ার পরও ওই জায়গাগুলিকে সমতল না করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটল।  এনিয়ে কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সত্যব্রত মাইতি বলেন, যাঁরা ওখান থেকে বালি কাটছেন, গর্ত হয়ে গেলে সেই জায়গাটিকে সমতল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া আছে তাঁদের। কিন্তু কেন তাঁরা সেকাজ করেননি, তা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ 

    করা হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)