• কালীঘাটের পুলিশ কার্যালয়ে বিশ্বকর্মা পুজোয় মমতা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানিয়েই বিশ্বকর্মা পুজোয় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে সেকথা নিজেই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে বিশ্বকর্মা পুজোর শুভেচ্ছাও জ্ঞাপন করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সকলকে জানাই বিশ্বকর্মা পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা। এবারে আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানিয়ে বিশ্বকর্মা পুজোতে রাজ্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছি।’

    পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাড়ির সামনে যে পুলিশ কার্যালয় রয়েছে, বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো হল সেখানে। পুজোর সময়ে সেখানে হাজির ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। সঙ্গে ছিলেন মহিলা পুলিশকর্মীরা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে প্রতিবার কালীপুজো করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পুজোয় সারা দিন উপবাস রেখে সন্ধ্যায় নিজে হাতে ভোগও রাঁধেন মমতা। এবার বাড়ির পাশের পুলিশ কার্যালয়ে বিশ্বকর্মা পুজোতেও অংশ নিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা বসেন এই কার্যালয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই আসলে দুর্গোৎসবের সূচণা হয়। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনেও সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছিলেন মমতা। বুধবার সশরীরে যোগ দিলেন বিশ্বকর্মা পুজোয়। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘কালীঘাটে আমার বাড়ির পাশে পুলিশের অফিসে পুলিশ বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করেছে। আমিও ওদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলাম।’

    উল্লেখ্য, বাংলা-বাঙালি বিতর্কের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সম্প্রতি ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বলার কারণে বহু বাঙালি শ্রমিককে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি ‘পুশব্যাক’র মত লজ্জাজনক ঘটনাও ঘটেছে। সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রাজনৈতিক ময়দান, সর্বত্রই এর বিরুদ্ধে লড়ছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী খোদ সরাসরি পথে নেমে ভাষা আন্দোলনের সূচণা করে ভাষা সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনকি শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকার ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে ফেরার পর শ্রমিকরা যতদিন কাজের সুযোগ না পাচ্ছেন, ততদিন মাসিক ৫ হাজার টাকা করে টানা এক বছর ভাতা পাবেন। এছাড়া স্বাস্থ্যসাথী-সহ অন্যান্য সরকারি পরিষেবা ও সুবিধাও তাঁরা পাবেন। এক কথায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান রক্ষার্থে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দু’ভাবেই লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁদের মর্যাদা রক্ষার্থে রাজ্য সরকারি ছুটির ঘোষণা মমতার।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)