• বিহারের পর দিল্লি ও অসম, শুরু হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়া
    আজকাল | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বিহারের পর রাজধানী দিল্লিতে শুরু হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়া। সংবাদ সংস্থা পিটিআই বুধবার সরকারি নির্দেশিকার উল্লেখ করে জানিয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় দিল্লির যে ভোটারদের বা তাঁদের অভিভাবকদের নাম নেই তাঁদের পরিচয়পত্র দিতে হবে। অর্থাৎ ভোটারদের ২০০২ সালের তালিকায় নাম রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আর্জি জানালেন দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। শোনা গেছে, অসমেও এই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। আগামী বছরের এপ্রিলে সেখানে ভোট।

    দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখার এই পর্ব ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ভোটারদের এবং অভিভাবকদের নাম রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। দিল্লির সিইও–র ওয়েবসাইটে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার কপি আপলোডও করা হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কারও নাম না থাকলে তাঁদের বৈধ নথি প্রস্তুত রাখতে হবে। যাতে ভেরিফিকেশনের সময় সমস্যায় পড়তে না হয়। যার অর্থ এবার দিল্লিতেও ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর শুরু হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই দিল্লির প্রতিটি বিধানসভা আসনে নির্বাচন কমিশনের তরফে ‘বুথ লেভেল অফিসার’ (বিএলও)–দের মনোনয়ন ও নিয়োগপর্ব হয়ে গিয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সিইও–র দপ্তর। 

    প্রসঙ্গত, এসআইআর নিয়ে আপাতত সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা চলছে। বিহারের ক্ষেত্রে কমিশন ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য ১১টি নথির কথা প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করেছিল। পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রামাণ্য নথি হিসাবে আধার কার্ডও সংযুক্ত হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এবং কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, আধার শুধুমাত্র পরিচয়পত্র, কোনওভাবেই নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়।

    এটা ঘটনা, এসআইআর–এর পর বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে, এই ৬৫ লক্ষের মধ্যে বহু বৈধ ভোটার রয়েছে। শুরুতে নির্বাচন কমিশন বাদ পড়া এই ভোটারদের তালিকা আলাদা করে প্রকাশও করেনি। কিন্তু পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়েই ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সে নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়েছে। সেসবের মধ্যেই এবার দিল্লিতে শুরু হল এসআইআর প্রক্রিয়া। 
  • Link to this news (আজকাল)