• ১৪ দফা অভিযোগে বিদ্ধ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত, উঠছে তদন্তের দাবি
    প্রতিদিন | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অগ্রাহ্য করে বিশ্বকর্মা পুজোয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রেখে আবারও বিতর্কে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। বস্তুত একের পর এক অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। যথাযথ তদন্তের দাবি করেছে শিক্ষক ও ছাত্রমহলের একটা বড় অংশ। উল্লেখ্য, তৃণমূল প্রভাবিত অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপাও নির্দিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। সম্প্রতি ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠার দিন ছাত্র সংগঠনের আবেদন উড়িয়ে পরীক্ষা ফেলা হয়েছিল। আর এদিন স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তির কাউন্সেলিংও রাখা হয়। গুচ্ছ অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য বর্তমান উপাচার্যর জবাব মেলেনি। ফোন ধরেননি বা এসএমএস-এরও জবাব দেননি। তবে নিচের চোদ্দোদফা অভিযোগ নিয়ে যে ওয়েবকুপা আক্রমণে নামবে, তা স্পষ্ট। যে অভিযোগ ঘিরে সরগরম উচ্চশিক্ষা মহল সেগুলি হল

    (১) রাজ্যপালকে ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সাহায্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা লড়তে।
    (২) উপাচার্য হতে না হতেই দ্বিতীয় সিন্ডিকেট মিটিংয়েই স্বামী ডিআরএম জীবনকৃষ্ণদে-কে বিশ্ববিদ্যালয়ের এথিক্স কমিটিতে জায়গা করিয়ে দেন।
    (৩) দুই বছর ধরে মানবাধিকারের ফল আটকে রেখেছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে ১৯ জন ছাত্রের রেজাল্ট আটকে রয়েছে। যে ছাত্রছাত্রীদের তরফে অভিযোগ, তাঁরা উনি থাকাকালীনই পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
    (৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে অধ্যাপকদের ফি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বেআইনিভাবে পদোন্নতি করানোর অভিযোগও রয়েছে। ফলে একশ্রেণির বক্তব্য, ইউনিভার্সিটি ফান্ড প্রায় শুকিয়ে যাচ্ছে।
    (৫) রাজ্য সরকারেরই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের অনুদান এক পয়সাও খরচ হয়নি তাঁরই ‘অপদার্থতার’ জন্য।
    (৬) এই দুই বছরের সময়েই এনআইআরএফ অর্থাৎ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‍্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক-এ র‍্যাঙ্কিং চতুর্থ ছিল ২০১৯ সালে। কিন্তু তারপর ক্রমাবনতি হয়। তথ্য বলছে, এখন সামগ্রিক র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৬তম।
    (৭) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের কার্য টার্গেট করে এফআইআর করানো হচ্ছে।
    (৮) উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কোনও অনুমোদন না নিয়েই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের নাম করে অন্যায়ভাবে সমাবর্তন করিয়েছেন।
    (৯) প্রায় সব সিন্ডিকেট মিটিংই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই ডাকা হয়েছে।
    (১০) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সব ডিনই অস্থায়ী। কেউই স্থায়ী নেই। এবং এঁরাই সিন্ডিকেট মেম্বার।
    (১১) পিএইচডি কমিটিগুলি গঠনের ক্ষেত্রে অসদুপায় নেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগই উপাচার্য ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ।
    (১২) মানবাধিকার কোর্সটি নৃতত্ত্ব বিভাগ থেকে সরিয়ে আইন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আবার মানবাধিকারে এলএলএম কোর্স করানো হচ্ছে বার কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়াই।
    (১৩) বহু আর্থিক সিদ্ধান্ত বেআইনিভাবে নেওয়া হয়েছে, এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের এফডি ভাঙার ক্ষেত্রে অন্যায় উপায় নেওয়া হয়েছে বলে প্রশ্ন উঠেছে।
    (১৪) ওবিসি ও এসসি-দের ক্ষেত্রে গবেষণা করায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)