ক্রমশ বাড়ছে বন্যার জল। গভীরতা বুঝতে না পেরে মালদহের মানিকচকের ভূতনিতে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনার পরে, বুধবার ভূতনিতেই জমে থাকা জলে ডুবে মারা যায় এক ছাত্রী। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় জলে ডুবে মৃত্যু হয় মেডিক্যাল ইমেজিং টেকনোলজি নিয়ে ভোকেশনাল কোর্সে পাশ করা জামিদ রাহিদুল জাহিদের (২২)। এ দিন মারা যায় পশ্চিম নারায়ণপুর হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী হেমাঙ্গিনী মণ্ডল (১২)।
গঙ্গার জল বাড়ায় ভূতনির বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জুলাপদিটোলার বাসিন্দা জামিদ কলকাতার বেসরকারি কলেজে মেডিক্যাল ইমেজিং টেকনোলজি নিয়ে পড়া শেষ করে মাস চারেক আগে বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবার সাইকেল নিয়ে তিনি মাঠে ফুটবল খেলতে যান। রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় সামিরউদ্দিনটোলা এলাকায় সাইকেল-সহ তিনি বন্যার জলে তলিয়ে যান। স্থানীয়েরা রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন। মৃতের মামা সাদ্দাম শেখ বলেন, ‘‘ভাগ্নে যখন খেলতে গিয়েছিল, তখন রাস্তায় জল কম ছিল। কিন্তু ফেরার সময় জল বেড়ে যাওয়ায় ও সাইকেল নিয়ে টাল সামলাতে পারেনি। ডুবে যায়। সাঁতার জানত না।’’ ভূতনির পশ্চিম নারায়ণপুর জানকিটোলার হেমাঙ্গিনী আরও কয়েক জন শিশুর সঙ্গে এ দিন সকালে বাড়ির কাছেই বন্যার জমা জলে স্নান করতে গিয়ে ডুবে যায়। স্থানীয়েরা দু’ঘণ্টার চেষ্টায় তার দেহ উদ্ধার করেন। হেমাঙ্গিনীর বাবা বিজয় মণ্ডলও বলেন, ‘‘মেয়ে সাঁতার জানত না।’’ জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘জলে ডুবে দু’জনেরমৃত্যু হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি হচ্ছে।’’
ঘটনাচক্রে, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (নর্থ), সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (নর্থ ওয়ান সার্কল), এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে (মালদহ ডিভিশন) বদলি করা হয়েছে। মহানন্দা ডিভিশনের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে মালদহ ডিভিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের তরফে এই পদক্ষেপকে ‘রুটিন বদলি’ বলা হলেও, বিষয়টি নিয়ে জল্পনাশুরু হয়েছে।