সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে লোপাটের অভিযোগ। যা ঘিরে বুধবার থেকেই উত্তাল রামপুরহাট। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল। ওই ছাত্রী যে স্কুলে পড়ত, সকাল থেকেই সেখানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রীর আত্মীয়স্বজন ও গ্রামের লোকেরা। প্রধান শিক্ষক স্কুলে ঢুকতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্কুলের সামনে এ দিন বিক্ষোভের আঁচ আগেই পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। তবে প্রধান শিক্ষক স্কুলের কাছে আসতেই, ধেয়ে যান ছাত্রীর আত্মীয় ও গ্রামের লোকেরা। তাঁদের সামাল দিতে পুলিশ কার্যত হিমশিম খায়। তাঁরা পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষককে। সপাটে চড়ও কষান একজন।
প্রশ্ন করেন, ‘২০ দিন ধরে আপনার স্কুলের ছাত্রী নিখোঁজ, অভিযোগও আপনারই স্কুলের স্যরের নামে। আপনি কী করেছেন?’ কোনও ক্রমে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই প্রধান শিক্ষক অভিযুক্তকে আড়াল করেছেন। আর প্রাণ দিয়ে তারই খেসারত দিতে হলো ওই ছাত্রীকে।
গত ২৮ অগস্ট রামপুরহাটের ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। সে দিন রাতেই রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবার। তার পরের দিন ওই শিক্ষকের বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়। ওই ছাত্রী যে স্কুলে পড়ত, অভিযুক্ত সেই স্কুলেরই ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করতেই সমস্ত রহস্যের পর্দাফাঁস হয়। জানা যায়, রামপুরহাট থানা এলাকারই একটি গ্রামের জলাজমিতে ছাত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে। রামপুরহাট থানার পুলিশ রাতেই ওই ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।