যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের জুতো, চশমা এবং একটি ছোট হাতব্যাগের হদিস মেলেনি। এ সবের খোঁজে যাদবপুরের চার নম্বর গেটের কাছের ঝিলে বুধবার ডুবুরি নামায় পুলিশ। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতে অনামিকার দেহ ওই ঝিল থেকে উদ্ধার করা হয়। এর কিছু ক্ষণ আগেই অনামিকা ঝিলে পড়ে গিয়েছিলেন বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে।
কী ভাবে জলে পড়েন তিনি? এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতেই তদন্ত চালাচ্ছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। মৃতা ছাত্রীর বাবা অর্ণব মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের নামে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঝিল থেকে এক জোড়া জুতো উদ্ধার হয়েছে। তবে তা অনামিকার কি না তা যাচাই করা হবে। অনামিকার বাবা এ দিন বলেন, ‘‘পুলিশকে এটাই বলেছি, মেয়ের ঠিক কী হয়েছে আমরা জানতে চাই।’’ তিনি জানান, অনামিকার বন্ধু, শিক্ষকদের মারফত যে ব্যাগটি তিনি পান তার মধ্যেই সাধারণত ছোট ব্যাগটি থাকত। অনামিকার ফোন এখনও পুলিশের কাছে। তদন্তের স্বার্থে অনামিকার পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়া ঘটনাস্থলের একটি থ্রিডি ম্যাপিং পুলিশ করাচ্ছে। যাদবপুরে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করছে স্থানীয় পুলিশ। তাতে অন্তত ২০০টি সিসি ক্যামেরার প্রস্তাব রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যাদবপুর কর্তৃপক্ষের তরফে মূল শিক্ষাঙ্গনে ৫০টি সিসি ক্যামেরার প্রস্তাব বিকাশ ভবনে পড়ে আছে দীর্ঘ দিন। যা এখনও কার্যকর করা হয়নি।