• হোটেলে দুর্গাপুজোর আয়োজন, পর্যটক টানতে বিশেষ উদ্যোগ দিঘায়
    এই সময় | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সোমনাথ মাইতি, দিঘা

    পুজোর কয়েক দিন মিলবে হরেক রকমের বাঙালি খাবার। অষ্টমীর অঞ্জলির পরেই পেটপুড়ে খাওয়া যাবে লুচি, ছোলার ডাল। পর্যটকরা বেড়াতে এলেও যাতে তাঁদের পুজো মিস না হয়ে যায় তাই এ বার দিঘা, মন্দারমণির হোটেলগুলি দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে।

    মন্দারমণিতে আগে এ ভাবে পুজোর আয়োজন কোনও দিনও হয়নি। তবে এ বছর হোটেল কর্তৃপক্ষ পুজোর আয়োজন করেছেন। তারা জানান, আগে মন্দারমণিতে এমন ভিড় হতো না। কিন্তু এখন পুজোর আগের থেকেই দিঘা ও মন্দারমণইতে ভিড় বাড়তে শুরু করে। তাই হোটেল কর্মীদের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্যও পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। এমনকী হোম স্টেগুলিতেও দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছে।

    কয়েক বছর আগে দশমী থেকে দিঘা, মন্দারমণিতে ভিড় বাড়তে শুরু করত। কিন্তু এখন হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চতুর্থী থেকেই লোকজন দিঘায় আসতে শুরু করেন। ফলে ভিড় জমে যায় দিঘা, মন্দারমণিতে। পুজোর সঙ্গে সঙ্গে মেনুতেও পরিবর্তন আনা হয়।

    বাঙালি খাবারের অনেক পদ তৈরি করা হয়। তা ছাড়া স্থায়ী বারোয়ারি পুজোগুলি তো আছেই। সেখানেও পর্যটকরা ঠাকুর দেখতে ভিড় করেন। পঁচেটগড় ও মহিষাদল রাজবাড়ির হোম স্টে–তে এ বার দুর্গাপুজো হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকছে এলাহি পুজোর খাওয়া দাওয়ার আয়োজন।

    পুজোর কয়েক দিন নানা ধরনের আমিষ ও নিরামিষ খাবারের পদের ব্যবস্থা রেখেছে এই হোম–স্টে। অষ্টমীর দিন আশপাশের পুজো মণ্ডপে অঞ্জলি দেওয়ার পরে পর্যটকরা চাইলেই লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, লাবড়া, পনিরের নানা পছন্দের পদ খেতে পারবেন।

    বিভিন্ন হোটেল মালিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর চতুর্থী থেকে বুকিং কিছুটা কম হলেও অষ্টমী থেকে একাদশী পর্যন্ত বুকিং ভালো হয়েছে। মন্দারমণি হোটেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোশিয়েশনের সহ সভাপতি দেবরাজ দাস বলেন, ‘পর্যটকরা বেড়াতে এসে যাতে পুজোর আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্যে মন্দারমণির অনেক হোটেলেই ঘটা করে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছে। শুধু পুজো নয় সন্ধ্যা থেকে থাকছে নানা অনুষ্ঠান। পুজোর সময়ে বিভিন্ন হোটেলে বিভিন্ন প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। প্যাকেজ ছাড়াও পর্যটকরা হোটেলে থাকতে পারবেন।’

    তবে মন্দারমণি ও তাজপুরের অনেক হোটেলে পুজো ও পুজোর বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা থাকলেও দিঘাতে তেমনটা নেই। দিঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘দিঘাতে ছুটি কাটাতে এসে পর্যটকরা নিজের মতো খাওয়া দাওয়া করতে পারেন। তাঁরা ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এ ছাড়া অনেক রেস্তোরাঁ পুজোর স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থাও করে।

    এই সময়ে ভিড় হয় পঁচেটগড় ও মহিষাদল রাজবাড়িতেও। দুই রাজবড়িতে রাজকীয় হোমস্টে রয়েছে। পঁচেটগড় রাজবাড়ির বর্তমান সদস্য ফাল্গুণী দাস মহাপাত্র বলেন, ‘পুজোর চার দিনের জন্যে রাজবাড়ি হোমস্টে ফুল হয়ে গিয়েছে। তবে পর্যটকরা পুজোর সময়ে সারাদিন রাজবাড়ির পুজো দেখে ফিরে যেতে পারেন তার ব্যবস্থাও রয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)