• বাড়িতে ডেকে স্ত্রী'র সাথে জোর করে সঙ্গম! চরম মুহুর্তে যৌনাঙ্গে গোলমরিচ মাখিয়ে দিল স্বামী! গ্রেপ্তার 
    আজকাল | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:  কেরালার মধ্যাঞ্চলে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, অভিযোগ—তারা দুই যুবককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালিয়েছে। নির্যাতনের মধ্যে ছিল শরীরে স্ট্যাপলার পিন ঢোকানো, মরিচ স্প্রে ব্যবহার, লোহার রড ও চেইন দিয়ে প্রহার এবং টাকা-পয়সা লুট। গ্রেপ্তার হলেন জয়েশ এবং তার স্ত্রী রেশ্মি, চারালাকুন্নু, কৈপুরাম এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, এই দম্পতি ১ সেপ্টেম্বর এবং ৫ সেপ্টেম্বর দুটি আলাদা ঘটনায় দুই যুবককে ফাঁদে ফেলে নির্যাতন করে।

    জানা গেছে প্রথম ভিকটিমের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং তারপর নৃশংসতার পরিকল্পনা করা হয়। প্রথম শিকার, আলাপ্পুঝার নীলামপেরুরের ১৯ বছরের এক যুবক। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মারামন থেকে জয়েশ তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই যুবক আগে থেকেই দম্পতির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ রাখত।

    বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জয়েশ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং স্ত্রী রেশ্মির সঙ্গে জোর করে যৌন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে বাধ্য করে। সেই দৃশ্য ভিডিওতে রেকর্ড করা হয়। পরে তাকে বাঁধা অবস্থায় ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়, লোহার রড, সাইকেলের চেইন ও কাটার প্লায়ার্স দিয়ে আঘাত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন দুটি কেড়ে নেওয়া হয়, মরিচ স্প্রে করা হয় তার যৌনাঙ্গে, এবং মানিব্যাগ থেকে ১৯ হাজার টাকা লুট করা হয়। শেষে তাকে একটি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে ফেলে দেওয়া হয়।

    ৫ সেপ্টেম্বর, ওনম উৎসবের দিনে দ্বিতীয় যুবককে ডেকে নেয় দম্পতি। তিনি আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় জয়েশের সহকর্মী ছিলেন। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে—যার মধ্যে যৌনাঙ্গও রয়েছে—২৩টি জায়গায় স্ট্যাপলার পিন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তার কাছ থেকেও মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেওয়া হয়, পরে একটি নির্জন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। প্রথম যুবক গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলে পুলিশ ঘটনার খবর পায়। প্রথমে তিনি অজ্ঞাত কিছু লোককে অভিযুক্ত করলেও পরেহেফাজতে নিলে পুলিশের কাছে দম্পতির নাম প্রকাশ করেন।

    প্রথমে আরণমুলা থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির নতুন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)–এর বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পরে একটি মামলা কৈপুরাম থানায় স্থানান্তরিত হয়। এখন দুটি মামলাকে একত্রিত করে তদন্ত চলছে। জুডিশিয়াল কাস্টডিতে দম্পতিকে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার জয়েশ ও রেশ্মিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, আরও জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের আসল উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হবে।

    এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “একজন ভিকটিম দাবি করেছেন, এই নির্যাতন কালাজাদুর আচার–অনুষ্ঠানের অংশ ছিল। তবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তাদের আরও ভিকটিম থাকতে পারে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”  এই ভয়ঙ্কর ঘটনা কেরালাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সমাজকর্মীরা বলছেন, এটি শুধু অপরাধ নয়, মানবতার চরম লঙ্ঘন, যার শিকড়ে কী উদ্দেশ্য কাজ করছে তা দ্রুত প্রকাশ করা জরুরি।
  • Link to this news (আজকাল)