গোপনাঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা, স্কুল থেকে ফিরেই কাতরাচ্ছিল ৪ বছরের খুদে ছাত্রী, হাসপাতালে যেতেই আসল ঘটনা ফাঁস
আজকাল | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই শয্যাশায়ী চার বছরের খুদে ছাত্রী। গোপনাঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে। কিন্তু কী হয়েছে, তা তখনও ভয়ে জানাতে পারেনি। হাসপাতালে পরীক্ষার করার পর জানা গেল, স্কুলের মধ্যে যৌন হেনস্থার শিকার সে। ওই স্কুলের এক মহিলা শিক্ষা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মুম্বইয়ের গোরেগাঁও পুলিশ ৪০ বছর বয়সি এক শিক্ষা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। স্কুলের মধ্যেই চার বছর বয়সি খুদে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ সেপ্টেম্বর। সেদিন ছাত্রীর ঠাকুমা তাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছিল। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই খুদে ছাত্রী জানায়, তার গোপনাঙ্গে যন্ত্রণা করছে। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানা যায়, খুদে ছাত্রী যৌন হেনস্থার শিকার। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় ওই ছাত্রীর পরিবার।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের মহিলা শিক্ষা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গোরেগাঁও পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই বছর ধরে ওই শিক্ষা কর্মী স্কুলে কর্মরত। অভিযোগ উঠেছে, ওই মহিলা কর্মীকে অশালীন আচরণ করেন ছাত্রীর সঙ্গে। বাধা দিলেও অশ্লীলভাবে স্পর্শ করেন ছাত্রীকে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ। পাশাপাশি স্কুলের আরও একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা।
প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্ট মাসে পুনের এক স্কুলে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে প্রিন্সিপাল, পাঁচজন শিক্ষক এবং স্কুল কমিটির এক সদস্য রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ছাত্রীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত দুই বছর ধরে স্কুলের মধ্যে যৌন নির্যাতনের শিকার সে। মূল অভিযোগ পিটি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে এই প্রথমবার নয়। ওই শিক্ষক আগেও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর জেলেও বন্দি ছিলেন কিছুদিন। ছাড়া পেয়ে আবারও স্কুলে তাঁর কুকীর্তি বজায় ছিল।
ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ওই শিক্ষক তাঁর মেয়েকে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেছেন। স্কুলে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বরং জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও স্কুলে দাপট বজায় ছিল। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলেও, তা বিশেষ গুরুত্ব দিতেন না প্রিন্সিপাল এবং স্কুল কমিটির সদস্যরা।
সম্প্রতি থানায় ওই শিক্ষক, প্রিন্সিপাল সহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। শুক্রবার মূল অভিযুক্ত শিক্ষক, প্রিন্সিপাল সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো মামলা এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
আগস্ট মাসেই মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে স্কুলের মধ্যে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় দুই নার্সারি পড়ুয়া। সেই স্কুলেও অভিযোগ ছিল সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারির পরেও বদলাপুর কাণ্ডে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্র। একনাথ শিন্ডে সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামেন বিরোধীরাও। প্রতিবাদে সামিল ছিলেন শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেরাও।