তিন বছরের মেয়েকে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়েছিল, ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে লেকে ভাসিয়ে দিল মা! খুনের কারণ শুনে শিউরে উঠল পুলিশ ...
আজকাল | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিন বছরের কোলের মেয়েকে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়েছিল মা। মেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল। ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে লেকের ধারে ঘুরতে চলে যান। এরপর সেই ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে ভাসিয়ে দেন লেকের জলে। লেকে ডুবে শেষ হয়ে গেল তিন বছরের শিশুটি। এরপরই ঘাতক মা বললেন, তাঁর শিশুকন্যা নিখোঁজ!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের আজমেরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক তরুণীর স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। আজমেরে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর সঙ্গেই থাকতে তিনি বছরের মেয়ে। কিন্তু প্রেমিক তাঁর মেয়েকে পছন্দ করতেন না। বারবার সন্তানকে নিয়ে খোঁটা দিতেন। এই পরিস্থিতিতে রাগের মাথায় মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেন তরুণী।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ওই লেকের ধারে যুগলকে দেখা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অঞ্জলি নামের তরুণী জানান, তিনি বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথে মেয়েকে আর খুঁজে পাচ্ছেন না। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও মেয়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতেই তরুণীর কোলে তাঁর মেয়েকে দেখা গিয়েছিল। মেয়েকে নিয়ে তিনি লেকের ধারেও যান। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে তরুণীকে। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের। বুধবার সকালে লেকের ধারে শিশুকন্যার নিথর দেহ দেখতে পায় পুলিশ। দীর্ঘ জেরার পর তরুণী কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান, তিনিই ওই লেকে সন্তানকে ভাসিয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে অঞ্জলি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঘটনার দিন রাত দুটো নাগাদ আকাশ নামের তাঁর প্রেমিককে সন্তানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি জানিয়েছিলেন। এই ঘটনায় আকাশ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে নিজের খুদে সন্তানকে খুন করার অভিযোগ এক তরুণীর বিরুদ্ধে। নিজের মেয়েকে খুনের পর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও যায় সে। পুলিশকে জানিয়েছে, তার প্রেমের সম্পর্কে একমাত্র পথের কাঁটা ছিল শিশুকন্যা। তাই তাকে খুন করে মাটির তলায় পুঁতে রেখে, পালিয়ে যায় সে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মেদাক জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ মাসেই ২৩ বছর বয়সি তরুণী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। তারপর কয়েক সপ্তাহ পরেই নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। শ্বশুরবাড়িতে আসতে স্বামীই তাকে নিষেধ করেছিল। শুধুমাত্র এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে।
এরপর গত মে মাসে বাড়িতে বাবা, মায়ের কাছে পাঁচ বছরের ছেলেকে রেখে আবারও সে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তখনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তরুণী ও তার প্রেমিককে মেদাক জেলায় ফিরিয়ে আনে পুলিশ। তখনই খুদে কন্যাসন্তানকে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয় সে।
তরুণী জানিয়েছে, তার সম্পর্কের মধ্যে পথের কাঁটা ছিল একমাত্র এই দুই বছরের শিশুকন্যা। তাই তাকে খুন করে সে। খুনের পর দেহটি মাটির তলায় পুঁতে দেয়। গ্রামেই শিশুকন্যাকে পুঁতে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল সে। এই ঘটনার পরেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার প্রেমিকের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করেছে তারা। ঘটনার তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।