ফের কুড়মি সমাজের রেল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদিবাসী তালিকাভুক্ত করার দাবিতে ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালীন রেল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কুড়মি সমাজ। এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অবরোধ গণতান্ত্রিক অধিকার নয়। কুড়মি সমাজের এই আন্দোলন ‘অসাংবিধানিক’।
আদালতের নির্দেশের পর পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও তিনি আদালতের আদেশনামা হাতে পাননি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কুড়মিদের আন্দোলন নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আদিবাসী কুড়মি সমাজের তরফে জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও আগামি ২০ তারিখের কর্মসূচি থেকে পিছু হঠছেন না কুড়মিরা।
উল্লেখ্য, আদিবাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছর থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি সমাজ। গত বেশ কয়েক বছর ধরে পুজোর আগে সড়ক ও রেল অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ২০২৩ সালে কুড়মি সমাজের রেল অবরোধকে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০২৪ সালে পুজোর আগে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করে কুড়মি সমাজ। যদিও সেবছর রাজ্য সরকারের আলোচনার পর তাঁরা সেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
কিন্তু এতদিন পরও তাঁদের দাবি কার্যকর না হওয়ায় এবছর ফের আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হতেই আন্দোলনকে অসাংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করেছে আদালত। কিন্তু তা সত্ত্বেও আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছে কুড়মি সমাজ। জানা গিয়েছে, বাংলা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা রাজ্যের রেল ও সড়ক মিলিয়ে মোট ১০০টি পয়েন্টে অবরোধ করা হবে। এর মধ্যে জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-মেদিনীপুর এলাকায় প্রায় ৪৫ টি পয়েন্ট রয়েছে। পুরুলিয়াতেই সবথেকে বেশি ৪০টা পয়েন্ট রয়েছে।