স্টাফ রিপোর্টার: দেশজুড়ে আসন্ন এসআইআর পর্বে প্রকৃত নাগরিকের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করতে বুথে বুথে সার্বিক ঐক্যের ডাক দিল বাম দলগুলি। বুধবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে এসআইআর নিয়ে এক আলোচনাসভায় এই ঐক্যের প্রশ্নে একমত হওয়ার ডাক দিয়েছেন সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিম থেকে আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য বা সিপিআই (এমএল)-এর দীপঙ্কর ভট্টাচার্যরা। সিপিআই (এমএল)-এর উদ্যোগে এদিনের সভায় সেলিম বলেন, “ভোটার তালিকায় গন্ডগোল আছে, আমরা জানি। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার আছে। আমরা বছর বছর সেই তালিকা জমা দিই। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই তালিকা সংশোধনের সদিচ্ছা নেই।”
তাঁর কথায়, সব সময় মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখার চেষ্টা চলছে। কখনও নোটবন্দি নিয়ে, কখনও আধার কার্ড করা ও তাকে লিঙ্ক করা নিয়ে, কখনও সিএএ নিয়ে। যাতে মানুষ নিজের আধিকারকে দাবি করা থেকে বিরত থাকে। “ভোটার তালিকা তৈরি থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। আমাদের সিপিএমের রাজ্যের সব বুথে বিএলএ দেওয়ার ক্ষমতা নেই। বামপন্থী দল ও বামপন্থী মানসিকতার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বুথস্তর থেকে মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা করার কাজ করতে হবে।” বিহারে এসআইআর করার কথা বলতে গিয়ে কমিশন ও বিএলএ দুইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
তাঁর অভিযোগ, কমিশন যে নিয়মে এই কাজটা করছে, তাতে নাগরিকত্ব হারাতে বসেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। মনোজ ভট্টাচার্যর অভিযোগ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য পুঁজিবাদকে আরও সুরক্ষিত করা। তাঁর বক্তব্য, এনআরসি নিয়ে আইন তৈরি হওয়া সত্ত্বেও তথ্যগত সমর্থনদানকারী নথির অভাবে তাকে কার্যকরী করা যাচ্ছে না। এসআইআরের মধ্য দিয়ে সেই উদ্দেশ্যই পূরণ করা হচ্ছে। এসইউসিআইয়ের চণ্ডীদাস ভট্টাচার্যর কথায়, কমিশনের কাজ ভোটার তালিকা তৈরি করা। নাম বাদ দেওয়া নয়। সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের সরকার একের পর এক সাংবিধানিক সংস্থাকে দখল করতে চাইছে।