নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ২০০৭ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ২০০ টাকা। এরপর বিগত ১৮ বছরে আর বাড়েইনি ওল্ড এজ পেনশন। অন্যদিকে, বিগত ১৩ বছরে বৃদ্ধি পায়নি বিধবা পেনশন এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জনিত পেনশনের পরিমাণও। ২০১২ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ৩০০ টাকা। সম্প্রতি এক আরটিআই জবাবে প্রকাশ পেয়েছে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য। স্বাভাবিকভাবেই একে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মাসে মাত্র ২০০ টাকা কিংবা ৩০০ টাকায় কীভাবে স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন সম্ভব?
সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর গৌড়। তারই জবাবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০০৭ সালের আগে ওল্ড এজ পেনশনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৫ টাকা। ২০০৭ সাল থেকে তা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। পরিবর্তিত হয়েছে পেনশন প্রাপ্তির জন্য যোগ্যতার মাপকাঠিও। বলা হয়েছে, বিপিএল তালিকাভুক্তরাই এটি পাবে। সার্বিকভাবে বৃদ্ধি না পেলেও ২০১১ সাল থেকে ৮০ বছর বয়সি এবং তদূর্ধ্বদের জন্য ওল্ড এজ পেনশনের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল উইডো পেনশন স্কিমের ক্ষেত্রেও ৮০ বছর বয়সী এবং তদূর্ধ্ব বিধবাদের পেনশনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই দু’টি বিশেষ ক্ষেত্রেও বিগত ১৩/১৪ বছরে পেনশনের পরিমাণ বাড়ানো হয়নি।
আরটিআই জবাবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০০৯ সালে জাতীয় বিধবা পেনশন কর্মসূচি এবং জাতীয় শারীরিক প্রতিবন্ধকতাজনিত পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। সেইসময় এর পরিমাণ ছিল ২০০ টাকা। ২০১২ সালে তা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, পেনশনের পরিমাণ আক্ষরিক অর্থেই যৎসামান্য ঠিকই। বৃদ্ধির পরিমাণও নামমাত্রই। কিন্তু সংশ্লিষ্ট তিনটি পেনশন কর্মসূচিতেই অতি সামান্য যা বৃদ্ধি, তা হয়েছে কেন্দ্রের পূর্বতন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলেই। দেশের বর্তমান মোদি সরকার যে এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও চিন্তা করেনি, তা আরটিআইয়ের জবাব থেকেই স্পষ্ট।