ভালবাসার টানে ভারতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি, ৭১ বছরের মার্কিন মহিলাকে পুড়িয়ে মারলেন হবু বর! ...
আজকাল | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমের টানে ভারতে এসে প্রাণ খোয়ালেন মার্কিন মহিলা। ৭৫ বছর বয়সি প্রেমিক তথা প্রবাসী ভারতীয়কে বিয়ে করার জন্যে সিয়াটল থেকে পঞ্জাবে এসেছিলেন ৭১ বছরের ওই মার্কিন মহিলা। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই প্রেমিকের হাতে মরতে হল বৃদ্ধাকে। অভিযোগ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিয়াটলের বাসিন্দা ওই মার্কিন মহিলাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। ঘটনাটি গত জুলাইয়ে ঘটলেও সম্প্রতি মৃতার পরিবারের তরফে বৃদ্ধার খোঁজ নেওয়া শুরু হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা গিয়েছে, ভারতের আসার পর গত জুলাই মাস থেকে ওই মার্কিন বৃদ্ধা রুপিন্দর কৌর পান্ধের নিখোঁজ ছিলেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর পরিবার তাঁর সঙ্গে কেউ কোনও যোগাযোগ করতে পারছিল না। এরপর লুধিয়ানা থানায় ওই মহিলার বাড়ির লোকজন তাঁর নিখোঁজের এফআইআর দায়ের করে। যেখানে সন্দেহভাজনদের নামও উল্লেখ করা হয়।
লুধিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম রূপিন্দর কৌর পান্ধের। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহর থেকে ভারতীয় প্রেমিক চরণজিৎ সিং গ্রেওয়ালের আমন্ত্রণে এ দেশে এসেছিলেন। চরণজিৎ সিং মূলত লুধিয়ানার বাসিন্দা, যিনি ওই মহিলার স্বামী হতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গ্রেওয়ালই নাকি তাঁর বিদেশি প্রেমিকাকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, ২৪ জুলাই থেকে রূপিন্দরের ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে তাঁর বোন কমল কৌর খাইরা সন্দেহ প্রকাশ করেন। চারদিন পর অর্থাৎ ২৮ জুলাই তিনি নয়া দিল্লির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে জানান। এরপর দিল্লি থেকে লুধিয়ানা পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের জন্যে চাপ দেওয়া হয়।
শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে পান্ধের পরিবার, রূপিন্দরের মৃত্যুর খবর পায়। পুলিশ মার্কিন নাগরিককে হত্যার জন্য মালহা পট্টির সুখজিৎ সিং সোনুকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের মতে সোনু, পান্ধেরকে তার বাড়ির স্টোররুমে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। পুলিশি জেরায় সোনু অপরাধের কথা কবুলও করেছে বপলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে যে, সোনু সম্পূর্ণ অপরাধটি মহিলার প্রেমিক গ্রেওয়ালের নির্দেশে করেছে। পান্ধেরকে হত্যার জন্য সনুকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চরণজিৎ সিং গ্রেওয়াল।
কেন পান্ধেরকে খুনের যড়যন্ত্র করলেন তাঁর প্রেমিক চরণজিৎ সিং গ্রেওয়াল? পুলিশের মতে, রূপিন্দর মৃত্যুর আগে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছিলেন গ্রেওয়ালকে। আর্থিক উদ্দেশ্যেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (লুধিয়ানা পুলিশ রেঞ্জ) সতীন্দর সিং জানিয়েছেন, পলাতক গ্রেওয়ালকে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। সোনুর জেরার ভিত্তিতে ওই মহিলার দেহাবশেষ এবং অন্যান্য প্রমাণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।