'রাজধর্ম' পালন করলেন জ্যোতিপ্রিয়, নিজের দলের কার্যালয় বন্ধ করে ঘরের চাবি তুলে দিলেন কর্তৃপক্ষের হাতে...
আজকাল | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলেজের ক্লাসরুমে দলীয় কার্যালয় খুলেছিল তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আচমকা কলেজে ঢুকে পড়েন বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পার্টি অফিসের ফ্লেক্স খুলে ঘর তালা বন্ধ করে দিলেন। আর চাবি তুলে দিলেন কলেজের অধ্যক্ষার হাতে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বাণীপুর মহিলা মহাবিদ্যালয় অবস্থিত। কলেজ ভবনের কোনও প্রাচীর নেই। এই সুযোগ নিয়ে কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষ দখল করে সেখানে একদল তৃণমূল কর্মী দলীয় কার্যালয় খুলেছিলেন বলে অভিযোগ।
কার্যালয়ের সামনে দলীয় ঝান্ডাও ঝোলানো ছিল। ছিল দলীয় নেতা-নেত্রীর ছবি সম্বলিত ফ্লেক্সও। বিষয়টি নিয়ে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। অধ্যক্ষা বিদিশা ঘোষ দস্তিদার বিষয়টি রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে জানিয়েছিলেন। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরেও চিঠি লিখেছিলেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও তা নিয়ে জোর তোলপাড় শুরু হয়। বৃহস্পতিবার হাবড়ায় কয়েকটি সরকারি কর্মসূচিতে বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অংশগ্রহণ করেন। তারই ফাঁকে আচমকা তিনি বাণীপুর মহিলা মহাবিদ্যালয় হাজির হন। সঙ্গে ছিলেন হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ণ সাহা-সহ আরও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি।
বিধায়ক কলেজের জবরদখল হওয়া শ্রেণিকক্ষের সামনে থেকে দলীয় ঝান্ডা ও ফ্লেক্স খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তড়িঘড়ি সেগুলো খুলে ফেলা হয়। তারপর ওই ঘরে জ্যোতিপ্রিয় তালা বন্ধ করে দেন। আর চাবি তুলে দেন অধ্যক্ষার হাতে। বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় বলেন, 'কলেজের ঘর দখল করে সেখানে কিছু লোক কার্যালয় চালু করেছিলেন। সেটা মেনে নেওয়া যায় না। ওই ঘরে তালা বন্ধ করে দিয়েছি। চাবি অধ্যক্ষার হাতে তুলে দিয়েছি। কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইলে ওই ঘরটি এখন শ্রেণিকক্ষ হিসেবে আবার ব্যবহার করতে পারেন।'
অধ্যক্ষা বিদিশা ঘোষ দস্তিদার বলেন, 'আমাদের কলেজে পাঁচিল নেই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের একটি শ্রেণিকক্ষে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে খোলা হয়েছিল। আমি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে শুরু করে বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। আজ বিধায়ক ওই ঘরটিতে তালা বন্ধ করে দিয়েছেন। আমার হাতে চাবি তুলে দিয়েছেন। আমরা আবার আমাদের ঘর ফিরে পেয়েছি।' কলেজ কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, পাঁচিল না থাকায় বহিরাগত কিছু যুবক কলেজ চত্বরে নেশার আখড়া গড়ে তুলেছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বহিরাগত কাউকে কলেজ চত্বরে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কলেজ চত্বরে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প চালু করা হবে।