• জেলার আদালতগুলিতে আর্থিক সংকট, মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • রাজ্যের জেলায়-জেলায় আদালতগুলির আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সামনে পেয়ে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এইভাবে বিচারব্যবস্থা চলতে পারে না।


    বিচারপতিদের বক্তব্য, বহু জেলা আদালতে পরিস্থিতি এতটাই সঙ্কটজনক যে দৈনন্দিন অফিস সামগ্রী, পেন, পেন্সিল কেনার টাকাও নেই। ইন্টারনেট পরিষেবা সচল রাখার খরচ জোগানোর মতো ফান্ডও হাতে নেই। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি জেলা আদালতকে বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রশাসনিক খরচের জন্য বরাদ্দ হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে, যা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি অর্থ কবে মিলবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

    মুখ্যসচিবকে সরাসরি উদ্দেশ করে বিচারপতি বসাক বলেন, মঙ্গলবার সব জেলা জজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। জুডিশিয়াল সেক্রেটারিও সেখানে ছিলেন। প্রত্যেক জেলা জজই জানিয়েছেন তাঁদের হাতে খরচ চালানোর টাকা নেই। এটা যাতে আর না হয়, তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

    মুখ্যসচিব জানান, জেলা আদালত ও হাইকোর্টের ১৪টি প্রকল্পের বকেয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকা মেটাতে ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরের ফাইল পাঠানো হয়েছে। তবে বিচারপতিরা তাতে সন্তুষ্ট হননি। তাঁদের প্রশ্ন, বিচার বিভাগ থেকে আরও ৫৩টি ফাইল পাঠানো হয়েছে, সেগুলির কী ব্যবস্থা হচ্ছে? এর উত্তরে মুখ্যসচিব সাত দিনের সময় চান।

    বেঞ্চের প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পেপারলেস হাইকোর্ট গড়ার কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে কেন থমকে আছে? কেন অর্ডার ট্রান্সলেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি? বিচারপতি বসাকের মন্তব্য, প্রতিটি ফাইলের অর্থ ছাড়ার জন্য যদি মুখ্যসচিবকে ডেকে নির্দেশ দিতে হয়, সেটা কারও পক্ষেই সুখকর নয়।

    হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, জেলা আদালত ও হাইকোর্টে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলও বহু দিন ধরে ঝুলে রয়েছে। মুখ্যসচিব ফের সাত দিনের সময় চেয়ে আশ্বাস দেন যে তিনি নিজে বিষয়টি দেখছেন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ফের হবে এই মামলার শুনানি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)