• ‘নবচেতনায় অকাল বোধন’, ছবিতে দেখুন কীভাবে সাজছে সিংহী পার্কের মণ্ডপ
    প্রতিদিন | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পুজো মানেই বন্ধুবান্ধব, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে প্যান্ডেল হপিং। দক্ষিণ কলকাতার পুজোগুলির মধ্যে সিংহী পার্ক অবশ্যই থাকে দর্শনার্থীদের তালিকায়। তাই প্রতি বছরই সেখানে ভিড় জমান বহু মানুষ। এবারও বিপুল দর্শনার্থী ভিড় জমাবেন বলে আশা উদ্যোক্তাদের।

    দর্শনার্থীদের অবাক করতে প্রস্তুত পুজো কমিটি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মণ্ডপসজ্জার কাজ। ৮৪ তম বর্ষে তাদের থিম - 'নবচেতনায় অকালবোধন'।

    শিবের বরে বলিয়ান রাবণ। তাকে বিনাশ করতে বিস্তর বেগ পেতে হচ্ছিল রামচন্দ্রকে। তিনি বিপাকে পড়ে দেবী দুর্গার শরণ নেন। রামের ভক্তি পরীক্ষায় ১০৮টি নীল পদ্মের মধ্যে স্বয়ং দেবী লুকিয়ে রাখেন। কেন রাবণ সহজে বাগে আসেননি, সে আখ্যান জানা নেই সকলের। বহু বিদ্যার অধিকারী, অত্যন্ত বুদ্ধিমান দশানন আসলে ৬ শাস্ত্র এবং ৪ বেদের বিদ্যান। তাই প্রতীকী হিসেবে তাঁর দশটি মাথার রূপকল্প বর্ণিত হয়েছে পুরাণে।

    রাবণের দশরকম দোষের কথাও দশটি মাথা দিয়ে পরোক্ষে বোঝানো হয়েছে। কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য, দূর্বুদ্ধি, দুষ্কর্ম, দুশ্চিত্ত অর্থাৎ খারাপ কাজের ইচ্ছা এবং সর্বোপরি সীমাহীন অহঙ্কার। অর্থাৎ জ্ঞানী হয়েও রাবণ এক কলঙ্কিত ব্যক্তিত্ব। এবারের দুর্গা আরাধনায় সেই শিক্ষা দিচ্ছে সিংহী পার্ক।

    সুদীপ্ত মাইতির ভাবনায় সেজে উঠছে মণ্ডপ। কঞ্চি, বেত, পেপার পাল্প, টিস্যু পেপার, প্লাইউড এবং কাঠের তক্তার মতো পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে সাজছে মণ্ডপ। সঙ্গে আলোকশিল্পী উত্তীয় জানা তৈরি করবেন মায়াবী আলোর খেলা।

    প্রতিমা তৈরি করছেন প্রখ্যাত ভাস্কর প্রদীপ রুদ্র পাল। সাবেকি সাজের এই প্রতিমা যে সকলের মন জয় করবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই উদ্যোক্তাদের। আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে পণ্ডিত শ্রী শুভেন চট্টোপাধ্যায়।

    সিংহী পার্কের ঐতিহ্য মেনে শিশুদের কথা মাথায় রেখে চন্দননগরের আলোকসজ্জার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সম্ভবত ২৩ সেপ্টেম্বর মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)