• আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ক্যাপ্টেন সুমিতের বাবার
    বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬০ জন। মৃত্যু হয়েছিল পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালেরও। ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। এবার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনস্থ এই সংস্থার রিপোর্ট নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুললেন ক্যাপ্টেন সুমিতের বাবা পুসকারাজ। তাঁর বক্তব্য, দুর্ঘটনার জন্য বেছে বেছে কয়েকটি কারণকে তুলে ধরা হচ্ছে। সেগুলি দেখে মনে হচ্ছে, ক্যাপ্টেন সুমিত ভয়ংকর মানসিক চাপে ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরেই আত্মহত্যার কথা ভাবছিলেন। ৯১ বছর বয়সি বৃদ্ধ আরও জানিয়েছেন, এধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্য তাঁর শরীর ও মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাছাড়া, ছেলে তথা এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের পাইলট সুমিতের ভাবমূর্তিকেও নষ্ট করছে। যা ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার বর্ণিত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মৃত ক্যাপ্টেনের বাবা। তাঁর দাবি, বিমান দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ২০১৭ সালের এয়ারক্র্যাফট আইনের ১২ নম্বর রুল অনুযায়ী তদন্তের নির্দেশ দিক কেন্দ্র। তাহলেই প্রকৃত তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। যদিও এই নিয়ে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    এরমধ্যে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বোয়িং ও হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল মৃত চার যাত্রীর পরিবার। আমেরিকার ডেলওয়্যার সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা ওই মামলায় তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালেই একাধিক বোয়িং বিমানের সুইচ চালু বা বন্ধ নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছিল মার্কিন ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ফলে বিমানের সুইচ বসানো ও তৈরির দায়িত্বে থাকা দুই সংস্থা বোয়িং ও হানিওয়েলের কাছে কিছুই অজানা ছিল না। তা সত্ত্বেও কেন তারা ওই বিপর্যয় ঠেকাতে পারল না? প্রশ্ন তুলেছে মৃতদের পরিবার-পরিজনরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)