• চামোলিতে ভূমিধসে নিখোঁজ ২০, অল্পের জন্য বাঁচলেন সাংসদ
    বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায়। ভূমিধস পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। বৃহস্পতিবার জেলার নন্দনগড় এলাকার চারটি গ্রামে ভূমিসধসের জেরে নিখোঁজ ২০ জন। জখম অন্তত ১৪। ঘটনার পরেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি বলেন, ‘কুন্তারি লাগাফেলি, কুন্তারি লাগাসরপানি, সেরা এবং ধ্রুমা—এই চারটি গ্রামে ৩৩টি বাড়ি, বেশ কয়েকটি দোকান এবং গোয়ালঘর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।’ জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেন, বাড়ি ভেঙে গুরুতর জখম এক বালককে এয়ার লিফট করে ঋষিকেশের এইমসে ভর্তি করা হয়েছে। 

    বন্যা ও ভূমিধসের জেরে নন্দনগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নন্দনগড়, সরপানি এবং ধ্রুমার ১০ জন নিখোঁজ। গৃহহারা অর্জুন সিং জানিয়েছেন, ‘গতবারের ভূমিধসের ধাক্কা সামলে আমরা বাড়িতে সবকিছু ফেরাতে শুরু করেছিলাম। নতুন এই বিপর্যয় সবকিছু শেষ করে দিল।’ ধ্বংসস্তূপের তোড়ে বদলে যাচ্ছে মোক্ষ নদীর গতিপথ। নদীর জল কোনদিকে মোড় নেবে, তা হলফ করে বলতে পারছে না প্রশাসন। তাই সর্বত্র সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেরার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে একটি পেট্রল পাম্প ভেসে গিয়েছে। বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল নেটওয়ার্কও কাজ করছে না। এক গ্রামবাসী জানালেন, ‘ চোখের জল ফেলা ছাড়া করার কিছুই নেই। বুঝতেই পারছি না কী করব।’ 

    এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে বিজেপি সাংসদ অনিল বালুনির ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। দেবপ্রয়াগের কাছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়াবহ ভূমিধসের সামনে পড়েন গারওয়ালের সাংসদ। তবে অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পান। চামোলি এবং রুদ্রপ্রয়াগে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ঋষিকেশে ফিরছিলেন বালুনি। ভূমিধস নজরে আসতেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে কাদা ও পাথরের একটি বড় অংশ পাহাড় থেকে নামতে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। ঘটনার কথা এক্স হ্যান্ডলে জানিয়ে সাংসদ বালুনি লেখেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতেও রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এসডিআরএফ, এনডিআরএফ এবং প্রশাসনের কর্মীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)