রাত হলেই স্কুলে চলে কুকর্ম! সাসপেন্ড গার্ড, বন্ধ করে দেওয়া হয় সিসি ক্যামেরা-বিদ্যুৎ
বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বুধবার রাতে বালুরঘাটে সামনে এল শিক্ষাঙ্গনে কুকর্মের অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, রাতের অন্ধকারে সিসি ক্যামেরা ও বিদ্যুত্ বন্ধ করে স্কুলের ভিতরে দিনের পর দিন ঘনিষ্ঠ হচ্ছিল বছর বত্রিশের এক বিধবা ও যুবক। স্কুলের নৈশপ্রহরীকে হাত করেই তাদের আনাগোনা বাড়ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি বুঝতে পেরে তক্কে তক্কে ছিলেন স্থানীয়রা। বুধবার রাতে স্কুলে এক মহিলাকে ঢুকতে দেখেই পিছু নেন কয়েকজন। বিপদ বুঝে পিছনের গেট দিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুগল। এনিয়ে রাতে স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি হাইস্কুলের এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই বৃহস্পতিবার পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান শিক্ষক অসিতবরণ লাহিড়ী। তাঁরা খোঁজখবর নিয়ে নৈশপ্রহরীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হয়। দেখা গিয়েছে, রাতে পাঁচ মিনিটের জন্য ক্যামেরা বন্ধ করা হয়েছিল এবং সেইসময় বিদ্যুত্ চলে যায়। তবে, কোনও যুগলকে দেখা যায়নি। নৈশপ্রহরী জানিয়েছেন, স্কুলের কাছেই ওই মহিলার বাড়ি। তাই শর্টকার্ট হওয়ার জন্য স্কুলের ভিতর দিয়ে গিয়েছিলেন। ওই প্রহরীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য কৌশিক তালুকদার বলেন, কী কারণে ওই মহিলা স্কুলে ঢুকেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুল সূত্রে খবর, বয়স্ক ওই নৈশপ্রহরীর কাছেই চাবি থাকে। তিনি স্কুলের নানা কাজ করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ,ওই মহিলা তাঁর প্রেমিককে স্কুলে ডেকে আনেন। প্রমাণ না রাখার জন্য পাঁচ মিনিটের জন্য বিদ্যুত্ ও ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয় নৈশপ্রহরীর সাহায্যে। বুধবার রাতেও একই কায়দায় স্কুলে ঢোকে যুগল। এদিকে মেন গেটে বিক্ষোভ চলাকালীন তারা পিছন দিক দিয়ে পালিয়ে যায়।
নৈশপ্রহরী কানু দেবনাথ বলেন, মেয়েটি আমার পরিচিত। স্কুলের পিছনে তার বাড়ি। আমাকে বলেছিল, স্কুলের ভিতর দিয়ে বাড়ি যাবে। মানা করলেও চলে আসে। তাই কেউ যাতে দেখতে না পায়, সেজন্য বিদ্যুত্ বন্ধ করেছিলাম। আজকেই প্রথম এসেছিল।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই নৈশপ্রহরী যুগলদের আশ্রয় দেন। বিক্ষোভকারী সঞ্জিত দাসের কথায়, প্রায় রাতেই ওই যুগল স্কুলে আসত। আমরা লক্ষ্য করে এদিন পিছু নিলে পালিয়ে যায় তারা।
এনিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিআই দেবাশিস সমাদ্দার বলেন, খোঁজ নেওয়া হবে।